পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ প্রস্তাব । tes উপরি-উক্ত আলোচনা দ্বারা প্রতীয়মান হইবে যে, লৌকিক রা আনুষ্ঠানিক ব্যাপারে হিন্দুরা গণনার উপযুক্ত উন্নতি সহ স্থায়িকীৰ্ত্তি বড় বেশী সাধন করিতে পারেন নাই। জীবনযাত্রা যাহাঁতে সহজে মুখে অতিবাহিত হয়, তৎপক্ষে কিয়ৎপরিমাণে উন্নতি সাধন করিয়াছিলেন মাত্র এবং সেই অন্ধকারাচ্ছন্ন পৃথিবীতে তুলনীয়ের অভাবহেতু, তাহ তখন যে অতুলনীয় হইয়াও দাড়াইয়াছিল, তাহাতে সন্দেহ নাই । কিন্তু অন্ত দিকে এরূপ জাতির স্বভাব হইতে যাহা প্রত্যাশা করা যাইতে পারে, সেই নৈতিক উন্নতির পরাকাষ্ঠা প্রাপ্ত হইয়াছিল। আজি পৰ্য্যন্ত সেই প্রাচীন নৈতিক উন্নতির মোহিনী শক্তি, বহু বিপ্লব গতেও অস্তিত্বশূন্য না হইয়া, বরং পূর্ণভাবে দর্শকের চমৎকারিত্ব উৎপাদন করিতেছে। প্রাচীন হিন্দুর জীৱন আমূলতঃ পৰ্য্যালোচনা করিলে, স্পষ্টতঃ দৃষ্ট হইবে যে, উপপাদ্য এবং নৈতিক বিষয়ে এরূপ শ্রেষ্ঠ জাতি আর নাই । কালের কঠোর আবর্জনে সে সকল বিষয় যদিও বহুতর প্রকারে বিকৃতি প্রাপ্ত হইয়াছে এবং যদিও সেই পূৰ্ব্বত নৈতিক জীবন এক্ষণে ফসিল (Fossil) ভাব প্রাপ্ত হইয়া অকৰ্ম্মণ্যের মধ্যে পড়িয়া গিয়াছে এবং যদিও তদুপরি অজস্র মলরাশি জমিয়াছে, তথাপি তাহদের জ্যোতি ও মাধুৰ্যশক্তি এখনও অপরিসীম। যে বল অন্যত্র দুরাকাঙ্ক্ষা পরিতৃপ্ত করণার্থে ব্যয়িত হইত, সে বল এখানে অপরের বিপত্নদ্ধারে নিযুক্ত । যে অর্থ অন্যত্র খেয়াল পরিপূরণ ও বিলাস বিস্তারার্থে নিয়োজিত হইত, এখানে তাহ সাধারণতঃ দরিদ্রের দারিদ্র্যনিবারণ এবং বিধবার চক্ষুজলমোচনের নিমিত্ত পর্যবসিত, যে বুদ্ধি অন্যত্র নানাবিধ ঐশ্বৰ্য্য, বিভব ও বিলাস বিস্তারের উপায় উদ্ভাবনে নিযুক্ত, এখানে তাহ ধৰ্ম্ম, মনস্তত্ব প্রভৃতির