পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘¢१२ গ্রীক ও হিন্দু। জীবন, কি মানবের জাতীয় জীবন, কায়িক, বাচিক, মানসিক, অদৃষ্টপূৰ্ব্ব, অজ্ঞাতপূৰ্ব্ব বা যে কোন প্রকারে, নিরস্তর গতিরত, তাহাতে তিলাদ্ধের জন্ত বিরাম নাই। অতএব মানবীয় বা মানবের জাতীয় জীবনকে প্রকৃতপক্ষে সেই গতিসমষ্টি বলিলেই সঙ্গত হয়। কৰ্ম্ম উহার উদেশ্ব। কৰ্ম্মক্ষেত্ররূপ অববাহিকামধ্যে সাধারণ জীবন-ক্রিয়া মূল প্রবাহ। বৃত্তি, প্রবৃত্তি, মনীষা, দর্শন, দেশ, কাল, পাত্রাপাত্র সংস্রব, ইত্যাদি তাহার শাখা প্রশাখা। শাখাপ্রশাখার জন্ত আবার কোন বঁশিপাতা ঝরিয়া জল আসিতেছে, তাহ যাহার চক্ষু আছে সে দেখিয়া লউক। আমরা এতদুভয় জাতীয় জীবনের সেই মূল প্রবাহ মাত্র দুইটি ধরিয়া, যথাকথঞ্চিৎ পরিদর্শন করিয়া আসিলাম এবং কোন উৎস হইতে উৎপন্ন হইয়া, কোন দেশ দিয়া বহিয়া আসিতে আসিতে, কোথাকার স্থানের গুণে কিরূপ রূপান্তর প্রাপ্ত হইয়া আসিয়াছে, কেবল তাঁহাই কিয়ৎপরিমাণে দেখিয়া লইলাম। কিন্তু তাহার আবার শাখা প্রশাখা কোনগুলি এবং শাখা প্রশাখার আবার শাখা প্রশাখা কাহারা ; সেই তাবৎ আনার কি উপায়ে ও কত পরিমাণে পুষ্টতা প্রাপ্ত হইয়া, মূল প্রবাহের কেমনে ও কতটা পুষ্টতা সাধন করিয়াছে ; পুনঃ প্রত্যেকের গন্তব্যপথস্থ বিভিন্ন বিভিন্ন গুণে তাহারা নিজে নিজে কিরূপ গুণলিপ্ত হইয়া, প্রাপ্ত গুণসমষ্টিদ্বারা মূল প্রবাহের কি প্রকার ও কতটা গুণরূপান্তর সাধন করিয়াছে ; তদ্বিষয়ে আমরা কোন কথা বলি নাই। কেবল দুই একটি শাখা প্রশাখার উপর অমনস্ক দৃষ্টিপাত , করিয়া আসিয়াছি মাত্র। যিনি শাখা প্রশাখা এবং শাখাপ্রশাখারও আবার পরিপোষকদের আমূলতঃ দৃপ্ত দেখিতে চাহেন, তিনি আত্ময়ত্বসিদ্ধ দৃশ্বে দেখিয়া লইবেন। যে নিয়মে মূল প্রবাহ অবলোকিত হইতে পারে, শাখা প্রশাখাও সেই নিয়মে অবলোকিত হয়, কেবল