পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

•¢ፃ8 গ্রীক ও হিন্দু। যাইবে । পুনশ্চ, এ দুই প্রবাহের বাহ দৃশ্বের প্রতি অবলোকন করিলে দেখিতে পাওয়া যায় যে, হিন্দুপ্রবাহের পরিসর বড় অধিক নহে, কিন্তু তরঙ্গ ও গভীরতা উহার অনেক , আর গ্রীক প্রবাহ,— তরঙ্গ ও গভীরতাতে অনেক কম, কিন্তু পরিসর উহার বড়ই বেশী । এখন কেনা জানে, গভীরতাহীন গলা জলে, গাঢ় প্রতাপে বাণের বড় বিষম বেগ,—প্রতিবেগেই কুল প্লাবিয়া, সকল ভাসাইয়া, নৌকা নেয়ের প্রাণ সশঙ্ক করিয়া দেয় , কিন্তু অগাধ জলে সে ভয় নাই । সে যাহা হউক, সেই কিন্তু না জানি কি সুন্দর প্রবাহ, যেখানে পরিসরতা, গভীরতা, তরঙ্গ, সকলে আসিয়া মুসম্মিলন এবং সম্মিলনহেতু পরস্পরের প্রসাদনে প্রত্যেক প্রতিকুলাংশের সমতা সাধন হইয়াছে , সাক্ষাৎ যেন সুরসরিদ্বরা প্রবাহাদর্শ জাহ্লবী ! এখন বিধাতঃ, কতকাল আর কোপে তোমার এ দগ্ধভারতকে আরও দহন জালায় জালাইবে ?—যে দেশে স্রোতস্বর্তী জাহ্লবীর জীবন প্রবাহিত, সে দেশে প্রকৃতিসুন্দর জাহ্নবীরূপ সেই সৰ্ব্ব সামঞ্জস্যময় যে জাতীয় জীবন, তাহাও কি কথন প্রবাহিত হইবে না ? কে বলিতে পারে—নিয়তির এ লীলাখেলায় কোথায় আদি, কোথায় অস্ত, পরিণাম কি ? ভারত সন্তান, যদি পুনঃ অভু্যদয়ে আকাজক্ষা থাকে, তবে আধ্যাত্মিক ভাবে সেই দুই বিগত জাতীয় জীবন প্রবাহের প্রকৃতি ও গুণসমূহ স্বীয় জাতীয় জীবনে স্বলুম্মিলিত ও সামঞ্জস্য সন্নিবেশিত করিতে চেষ্টা পাও। ধৰ্ম্ম ও কৰ্ম্ম, চিন্তা ও অনুষ্ঠান, এ উভয়েতে সমবুদ্ধিতে প্রবুদ্ধ হও । তুমি না বড় ধৰ্ম্মভীরু এবং ধৰ্ম্মই না তোমার জীবন ?—কিন্তু সেরূপ সামঞ্জস্য ভিন্ন ধৰ্ম্মও কখন সুফলপ্রসবী পূর্ণমূৰ্ত্তি এবং কৰ্ম্মও কখন স্বফলপ্রসব পূর্ণমুক্তি হুইতে পারে না ।