পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার। ১ । কৰ্ম্মক্ষেত্র । হিন্দুও এখন আর সে হিন্দু নাই ; গ্রীকও এখন আর সে গ্রীক নাই। যে ভারত বিধাতার পুণ্যভূমি, জগতের গৌরব, আর্ঘ্যের মাতৃদেবতা, ভবরঙ্গভূমে নৈতিক মনুষ্যত্বের যে একমাত্র রাহ, আজি তাহ নিৰ্ব্বাণদীপ ; আজি তাহা কুটিল অন্ধকারে আচ্ছন্ন, বিষাদভরায় চতুৰ্দ্ধিক হাহাকার মূৰ্ত্তিতে প্রতীয়মান। আর ইহার অদৃষ্টক্ষেত্রে বশিষ্ঠ বিশ্বামিত্র আদি বিশ্বপূজনীয় প্রজাপতিগণ উজ্জল তারকারূপে আলোক দান করেন না ; জ্ঞান-গগন তমসাবৃত, সপ্ত ঋষি অস্তমিত, বুদ্ধদেবও আর পাতকীর পাতকে অশ্রজল বর্ষণ করিতে আইসেন না। সে রাম নাই, সে কৃষ্ণাৰ্জুন নাই, লোকমাত৷ জানকীর সে গগনভর অনন্ত সুন্দর আদর্শ রমণীমূৰ্ত্তি নাই। শঙ্করের বেদগান নীরব, উজ্জয়িনীর কলকণ্ঠ নিস্তব্ধ, সকলেই বিগত ; সকলেই যাইতেছে,—একে একে, ধীরে ধীরে, নষ্ট স্বপ্লবৎ, নৈশ তিমিরজালে মিশাইয়া ভূতসাগরগর্ভে বিলীন হইয়া যাইতেছে। ভারত এখন কঙ্কালমৃগু, প্রেতনিবাসিত চিতাভষ্ম বিলিপ্ত শ্মশানভূমি, নিৰ্ব্বাক, নিস্তব্ধ ; কেবল নষ্টসুপ্তির উন্মত্ত অক্ষুট আরবিবৎ, শক্তিশূন্ত, ক্লোমথিত, নৈরাশ্বতগু, ভয়োন্তম, বস্তুরপদ পিশাচকুলের কিলি কিলি শৰ্মাত্র প্রতিবিম্বীভূত হইতেছে। সে দিন নাই, সে ভারত নাই ; বেদ-মহাভারত-গীত ভারতে ভারতসন্তানের ©ፃ