পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

€సెఇ গ্রাক ও হিন্দু । যথা চন্ত্রিকাণাং জলে চঞ্চলত্বং তথা চঞ্চলত্বং তবাপিহ বিষ্ণে - দেখ, এক চাদের কলঙ্ক বুঝিতে মানব, “বুড়ির কদমতলায় কাটুন কাটা” হইতে "অন্ধতম গভীর গুহা” পৰ্য্যন্ত, কত কথাই ৰলিয়া আসিতেছে এবং এখনই কি সে বলার শেষ হইয়াছে ? এখানেও সেইরূপ। ঐশ্বরিক নিয়ম ও ঐশ্বরিক সত্ত্বা সেইরূপ এক ভাবে চিরকালই সমান থাকিয় দৃষ্টিগোচর হইতেছে ; কেবল মানব তাহ বুঝিতে না পারিয়া এবং বুঝিবার চেষ্টা করিতে গিয়া, । নানদেশজ নানা প্রকৃতি এবং স্বীয় স্বীয় জ্ঞানোন্নতির বিভিন্ন পৰ্য্যায়। অনুসারে, নানা স্থানে, নানা সময়ে, নানারূপে ব্যাখ্যা প্রকটন করিয়া, ফিরিতেছে। এই ব্যাখ্যাই, সেই নানাদেশছ নানা প্রকৃতি ও জ্ঞানোন্নতির ভিন্ন ভিন্ন পৰ্য্যায় অনুসারে ; নানা স্থানে, নানা সময়ে ;. অবনত বা উন্নত ; ভিন্ন ভিন্ন ধৰ্ম্মশাস্ত্র, ভিন্ন ভিন্ন তত্ত্বশাস্ত্র, নানা মত, নানা গ্রন্থ, নানা কথা, ইত্যাদি আকারে এ জগতে ক্ষণে উদয় ক্ষণে বিলয় হইয়া যাইতেছে । সেই সেই ধৰ্ম্ম এবং তত্ত্ব শাস্ত্রাদি, কোথায় ও কিরূপে একু কোন সময়ে ও কি পরিমাণে মানৰ সেই সেই নিত্য পদার্থগুলি বুঝিতে চেষ্টা পাইয়াছিল এবং তাঁহাতে, কতদূর বা সফলতা লাভ করিয়াছিল, তাহারই নিদর্শক স্বরূপ। পুনশ্চ, সেই সকল শাস্ত্র যে দেশে যে প্রকৃতির লোক ও যে জ্ঞানপৰ্য্যায় হইতে সন্থত, সেই দেশে সে প্রকৃতির লোক অথচ যাহারা সে জ্ঞানপর্য্যয়ে এখনও উঠে নাই, তাহদের পক্ষে অবশু তাহারা পরিচালকস্বরূপ হয়। এ হিসাবে সকল দেশেরই ধৰ্ম্মশাস্ত্রাদি, যে পৰ্য্যন্তু তাহার অধিকতর উন্নত জ্ঞানের উদয়ে অর্থশূন্ত না হয়, তাবৎকাল তত্তং দেশের লোকের পক্ষে উপযোগী ও তন্নিহিত