পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার। 瞻 (t్సరి বিধানাদিও তাঁহাদের পক্ষে অবশুপালনীয় বলিতে হইবে। অনেক ধৰ্ম্মশাস্ত্রাবলম্বী অথবা প্রায় সকল ধৰ্ম্মশাস্ত্রাবলম্বীই ভাবিয়া থাকে যে, “তাঁহাদের হইতে বিধৰ্ম্মী যাহার, হায় ! তাহদের আর উপায় নাই, সুপস্থা অভাবে নরকে ডুবিয়া তাহারা নষ্ট হইবে বা যে কোনরূপে, অধঃপাতে যাইবে।” যাহারা রোগে সদা ডাক্তারের সাহাষ্য পায়, তাহারা অবিকল এইরূপ ভাবে যে, ডাক্তার যেখানে नांत्रे, সেখানকার লোক বাচে কি করিয়া ? অথচ ঈশ্বরের রূপায় যেখানে ডাক্তার আছে, সেখানেও যেমন, যেখানে নাই, সেখানেও তেমনি জীবনস্রোত প্রবাহিত হইয়া যাইতেছে । তোমার অবস্থায় ডাক্তার না হইলে চলে না, তাহার অবস্থায় গোবেদে হইলে চলে এবং তাঁহাতেই তাহার রোগের প্রতিকার হয় ;–এ হিসাৰে মোটের উপর সকল স্থানেই সমান হরণপূরণ সাধন হইয়া থাকে। বাঞ্ছারাম, ধৰ্ম্মপদার্থও, তাবৎ গৃঢ় পদার্থের ন্যায়, বাহির হইতে আইসে না, ভিতর হইতে উদয় হয়। হৃদয়ের যে পূর্ণ বিশ্বাস এবং পূর্ণ ভক্তি, এই দুইকে তাবৎ ধৰ্ম্মপদার্থের উপাদান ৰলিয়া জানিবে। এই দুইই মানুষের ধৰ্ম্মপথে মুক্ত পায়। নতুবা, দেবতার রূপ অরূপ, পুতুল অপুতুল বা এ দেবতা সে দেবতায় কিছুমাত্র যায় আসে না ; এ সকল ধৰ্ম্মশাস্ত্রের বিষয় এবং সে ধৰ্ম্মশাস্ত্র যে ভিন্ন ভিন্ন দেশজ প্রকৃতি ও জ্ঞানোন্নতির পর্য্যায় অনুসারে কিরূপ ক্ষণে উদয়, ক্ষণে পরিবর্তিত বা ক্ষণে বিলয় হইয়া থাকে, তাহা উপরে বলিয়া আসিলাম । যাহারা এখন চাদের কলঙ্ক দেখিয়া বৈজ্ঞানিক জ্ঞানে বলে, “উহ! লুপ্তসমুদ্রের তলদেশ", তাহারা চাদের যে চলিক উপভোগ করে, তাহাপেক্ষ, যাহারা বলিত, “উহা বুড়ির কদমতলায় কাটুনাকাটা", তাহারা ষে কিছু কম উপভোগ করিয়াছিল, তাহ নহে। যে ৰে ভাবে

  • "לס\