পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬০০

●分8 હૌસા જ દિન્ ા ও যেরূপে ডাকিতে পারে, তাহার পক্ষে তাঁহাই যথেষ্ট ; নতুৰা সে জুজের পুরুষের স্বরূপজ্ঞানে কে সমর্থ, বলিতে পার ? শ্রুতি বলেন, *যস্যাবেদং তস্য বেদং বেদং যস্য ন বেদ স ।” সকল ধৰ্ম্মশাস্ত্রই স্বীয় স্বভাবে অসম্পূর্ণ ; নিত্য পদার্থগুলির যখন অস্ত নাই, মহিমা যখন তাহাঁদের অপার, এবং জ্ঞানও ফুখন ক্রমোন্নতিশালী, তখন ধৰ্ম্মশাস্ত্রাদিরও এ জগতে পূর্ণতা এবং তাঁহাদের खेलग्न বিলম্বের অন্ত হইবে কি প্রকারে ? অতএব একবিধ ধৰ্ম্মশাস্ত্রীবলম্বীর অপরবিধ ধৰ্ম্মশাস্ত্রাবলম্বীর প্রতি যে বিদ্বেষ ও নরকভয়প্রদর্শন প্রভৃতি, সে কেবল গোড়ামী ভিন্ন অন্ত কিছুই নহে ! আরও দেখ, ঐশ্বরিক নিয়ম যাহা, যাহা সত্ত্বরজস্তম:-ত্রিগুণবিশিষ্ট ও যাহা বিশ্ব পরিচালনাহেতু সাধারণতঃ বিশ্ব-নিয়ম নামে খ্যাত ; দেশ, কাল এবং পরিচালনীয় উপকরণ পদার্থাদি ভেদে তদ্বৎ বাহমূৰ্ত্তি পরিগ্রহহেতু, লোকনয়নে আপাততঃ বিভিন্ন বিভিন্নরূপে যেন ততগুলি বিভিন্ন নিয়ম বলিয়া প্রতীয়মান হয়। অন্ধ হস্তিষ্ঠায়বৎ মানুষ যে যে ভাবে তাহাকে অনুভব করে, সে তাহেেক সেইরূপ বিভিন্ন প্রকারের ভাবিয়া ও দেখিয়া থাকে। কিন্তু বস্তুতঃ বিভিন্ন নহে । শুক্লকৃষ্ণ নেমিবিশিষ্ট শ্বাশ্বত সেই নিয়মচক্র ‘আহিক এবং বার্ষিক গতিতে আবর্তমান হইয়া জগৎ সংসার সমস্তকেই নিত্য শুভাশুভ, নৈমিত্তিক শুভাশুভ, উভয় শুভাশুভের সমান অধীনে ফেলিয়া, তাহাঁদের নিত্য রূপান্তর এবং নৈমিত্তিক রূপান্তরের উৎপাদন করিতে করিতে, অগ্রসর হইয়া ধাবিত হইতেছে। প্রতি পদার্থেরই শুক্ল কৃষ্ণ দ্বিবিধ গতি ; শুরুগতিবশে সত্ত্ব বা একত্বমুখে এবং কৃষ্ণগতিবশে বিকার বা বহুত্বমুখে গতায়াত করে। যে নিয়মে কেন্দ্রবাহী বায়ুদ্ধয় উপশমিত ও অপশমিত হইতেছে, বিশ্বস্থ তাবৎ পদার্থ সেই একই নিয়মুে উপশমিত ও