পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার। 《왕 অথচ স্বীয় স্বীয় প্রকৃতি-স্বাতন্ত্র্যবশে স্বতন্ত্র কর্ণাঙ্গুসরণ, এ সকলের কিছুতেই তখন কোন প্রকারে একে অপরের প্রতিবন্ধকতা করে না। সৰ্ব্বদাই সুরুচির সঙ্গীতবৎ চিত্ত-মোহকরভাবে সকল কাৰ্য্য সুসম্পন্ন হইয়া থাকে ; কোথাও কোন বিষয়ের নিমিত্ত কাহারও নিকট লাতি ৰা উপহাসাম্পদ হইবার আশঙ্কিত হইতে হয় না। জ্যেষ্ঠ সেখানে কনিষ্ঠের প্রতি মমতাবান এবং কনিষ্ঠও জ্যেষ্ঠের নিকট সৰ্ব্বদা ভক্তিবিনত হইয় থাকে। এক্ষণে এক কথা। উপরে যাহা কিছু বলিয়া আসিলাম তাঁহা সকলই সম্ভব বটে, কেবল এই একমাত্র সৰ্বে অর্থাৎ নিজ জীবন এবং জাতীয় জীবন উভয়েরই যথার্থ অর্থ এবং উদ্দেশ্য যথায় স্থিরীকৃত, নির্দিষ্ট এবং হৃদগত হইয়াছে। কিন্তু যথায় তাহা না হইয়াছে, তথায় যাবতীয় বিষয় ছিন্নমূল বৃক্ষশাখাসমূহের দশ প্রাপ্ত হইয়া থাকে। বলা বাহুল্য যে, আমাদের সমাজে ব্যক্তিগত এবং জাতিগত, উভয়তাই জীবনের অর্থ এবং উদ্দেশু এক্ষণে অস্থিরীকৃত, অনির্দিষ্ট এবং অস্বদগত । সুতরাং এরূপ দশা না হইবে কেন ? {) তবে আমাদের এ জ্যেষ্ঠত্ব, এ স্বাতন্ত্র্যাদি কোন শ্রেণীর, বলিতে পার? আর যে কেহ উহাকে যে শ্রেণী ইচ্ছা সেই শ্রেণীর বলিয়া ধরুক, আমি উহাকে মহাপ্রলয় শ্রেণীর বলিয়া থাকি ;—যে শ্রেণী হইতে মুসলমান ও খৃষ্টীয় শয়তানের উৎপত্তি হইয়াছে। যথায় বন্ধনীর অভাবে, নিয়মপুস্ত, সংজ্ঞাখুন্ত, দর্শনশূন্ত পদার্থনিকর যােচ্ছ আলোড়িত, বিক্ষিপ্ত, বিলোড়িত, তরঙ্গায়িত, উৎক্ষিপ্ত এবং বিলুপ্ত হইয়া থাকে, ইহ সেই শ্রেণীর। ইহার প্রভাবে পদার্থসকল সৰ্ব্বত্রই বেগবিক্ষিপ্ত বেগবিলুপ্ত, স্বপদে স্বস্থির রাখিবার জন্ত কোথাও কিছুমাত্র আভ্যন্তরীণ একতা-স্বত্রের অস্তিত্ব নাই। লোকচিত্ত এখানে