পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার। 尊 tుb পদদলিত, কোনটা বা লোপ পাইবার পথে অগ্রসারিত, বিৰিখ বিকার ও দুরবস্থাপ্রাপ্ত মালাগুটিকা পুষ্পসমূহশ্বরূপ। কেন এরূপ হইল ? সকল স্বাক্টর আদি সত্য, অথবা স্থষ্টি সত্যেরই বহির্বিকাশমাত্র। প্রতি কাৰ্য্য এক এক পৃথক পৃথক স্বষ্টি স্বরূপ , সুতরাং প্রতি কাৰ্য্য, সত্যকে তাহার মূল না করিলে স্বসম্পন্ন হইবার কথা নহে। সকল সত্যই ঈশ্বরের প্রতিরূপ। যখন সাত্বিকভাবে সেই সত্যকে অবলম্বন করা হয়, তখনই প্রকৃত কাৰ্য্যারম্ভ হইল বলিয়া বলা যায়, এবং সেইরূপ কাৰ্য্যই কেবল ঈশ্বরের অভিপ্রেত ও সেইরূপ কাৰ্য্যই কেবল ঈশ্বরপ্রতিকামার্থে উৎসর্গীকৃত হইবার উপযুক্ত হুইয়া থাকে। সত্যকে অবলম্বনের বাহ পরিচয় এই যে, যাহা অামার কৰ্ত্তব্য বলিয়া গৃহীত, তাহার সেই কৰ্ত্তব্যতাভাবের সততায় সৰ্ব্বাস্তরীণ বিশ্বাস, এবং সেই বিশ্বাসকে অবলম্বনপূর্বক দক্ষিণে বামে কোন দিকে প্রতিরূদ্ধ না হইয়া যথাজান ও যথাশক্তি করণীয় কাৰ্য্যের অনুসরণ করা। এরূপ সাত্বিকভাবপূর্ণ মানবজীবনে কৰ্ম্মসমূহ বিবিধ শোভাময় কুসুমসমূহ, আত্মাতীত শক্তি বা পাতৃসমক্ষে, কৰ্ত্তব্যবোধ তাঁহাদের অভ্যস্তর পরিচালিত গ্রন্থিস্বত্র। এই গ্রন্থিস্বত্র, কত কাৰ্য্যসমূহকে স্ব-তানলয়ে সম্বৰ্দ্ধিত করিয়া যে সমষ্টি নিৰ্ম্মাণ করে, তদ্বারাই কেবল জীবনের সার্থকতা সাধিত হয়। ফলতঃ কৰ্ত্তবাবুদ্ধিই কেবল এ সংসারস্থলে জীবনোদেশুদৰ্শী দূরদীপালোকশিখা স্বরূপ , উহাকে লক্ষ্য করিয়া চলিলে, মানুষ সাফল্য ও স্বচ্ছন্দতা সহ জীবনপথতিক্রমপুৰ্ব্বক মুখপূর্ণ ও শান্তিপুর্ণ নিরাপদ স্থানে নীত হইয়া পরমানন্দভাগী হইতে পারে ; কিন্তু হায় ! নানা বিজাতীয় পদার্থসংঘর্ষে হিন্দুসন্তানের জীবনে এখন সেই কৰ্ত্তব্য-স্বত্র ছিন্ন । সুতরাং ইহাদিগের জীবনও মহাপ্রলয়-সমুদ্রে নিক্ষিপ্ত ব্যাতা-বিঘুর্ণিত জীর্ণ তরণীবৎ। যে কোন