পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম প্রস্তাব । (సె স্বাক্ষাকার হইলেও, আর তাহা তেমন সহজে বাক্য দ্বারা বর্ণনার বিষয় হয় না। উহা আরও স্বক্ষতায়, কেবল চিন্তনীয় ; এবং তদতীতে আরও স্বক্ষতায় উঠিলে, চিন্তার সীমা ছাড়াইয়া একেবারে অচিন্তনীয় হইয়া উঠে। তখন কেবল এক ভক্তিসংযত হৃদয় চালনা করিলে, তকটা মাত্র তাহারা অনুভবশক্তির বিষয়ীভূত হয়। কিন্তু বাপু বাঞ্ছারাম, সেরূপ হৃদয় ও অনুভবশক্তির চালনায় রাজি আছ কি ?. যে হস্ত দ্বারা অতি সুহ্ম স্থল্ম মানবীয় কীট কীটাণুর সৰ্ব্বাঙ্গসম্পন্ন দেহ ও দেহযন্ত্রাদি নিৰ্ম্মিত হইয়া থাকে ; সেই হস্ত দ্বারাই সৰ্ব্বাঙ্গসম্পন্ন সূক্ষ্মানুস্থল্ম কারণ সকলের নিয়োগ ও সমাবেশ সাধন হয়। স্বীকার করি, ভৌতিক অণুবীক্ষণের কতক পরিমাণে তুমি উদ্ভাবন করিয়াছ বটে ; কিন্তু ইহা নিশ্চয় যে, আত্মিক অণুবীক্ষণ উদ্ভবনে এখনও তোমার অনেক বিলম্ব ! যেমন রেতঃস্থ কীটাণুর পরিপুষ্টিতে স্থূলতাপূর্ণ জীবদেহের বর্দ্ধন ও বিকাশ ; সেইরূপ বা তথাবিধ প্রকারে অনেক সময়ে, অথবা সৰ্ব্বদাই, স্বল্পকারুণ স্থূলকারণের বীজ স্বরূপ হয় ; কিংবা স্থূল কারণ যাহা, তাহ স্বশ্ন কারণের মোটা ও বাহ বিকাশ মাত্র। স্বশ্ন কারণের বিস্তার ও বিলাস এবং তাহার শিরা ধমনী, কালের সীমা ও বিশ্বের সীমা পৰ্য্যন্ত ভূত ভবিষ্যৎ উভয় মুখে, পরিব্যাপ্ত। সুতরাং যে কেহ স্বশ্ন কারণে প্রবৃদ্ধ হইতে পারে, সে সৰ্ব্বজ্ঞতালাভে সক্ষমু হয় । আমাদের পক্ষে, স্থল্ম কারণ যে আছে ও তাহার অস্তিত্বে যে প্রবুদ্ধ হইতেছি, এ পর্য্যন্ত বোধ হইলেও, অনেক ফললাভ হইতে পারে। বল বাপু বাঞ্ছারাম, আরও তোমাকে এ সম্বন্ধে কি বলিয়া বুঝাইব এবং এ তত্ত্ব কিরূপে তোমার হৃদয়ঙ্গম করাইব ? যে কোন সাধারণ-প্রকৃতি-সম্পন্ন বিষয় সম্বন্ধীয় তত্ত্ব, আর একটি সহজ উপায় দ্বারা অনুভূতির আয়তনগত হইতে পারে। যে জাতীয়