পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

இ8ர i. औको ७ दिनू । বলিতে শুলিয়tছি যে, কোন গ্রন্থ প্রণয়ন অপেক্ষা, বাৎসরিক রিপোর্ট লেখা অতি কঠিন এবং মহৎ কাজ। বলা রাহুল্য যে, ইহারাও প্রাণ ভরিয়া বাৎসরিক রিপোর্ট লেখার উপর জীবন মন উৎসর্গ করিতে কিছুমাত্র ক্রট করে না । শিক্ষার উপরেই, কি ব্যক্তিগত কি জাতিগত, কি বর্তমান কি ভবিষ্যৎ, কি ইহলৌকিক কি পারলোকক, সমস্ত জীবন নির্ভর করিয়া থাকে। সেই শিক্ষাদায়ক বিভাগ যেখানে এরূপ দশায় দশাগ্রস্ত হইয়াছে, সেখানে আর কি অধিক সৌভাগ্য আশা করা যাইতে পারে ; বা সেখানে আর অধিক বক্তব্যই কি থাকিতে পারে ? এই অপূৰ্ব্ব শিক্ষাস্থলে শিক্ষা লাভ করিয়া, বালক যখন শিক্ষালয় পরিত্যাগপুৰ্ব্বক সংসারক্ষেত্রে প্রবেশ করে, তখন তাহার কি আত্মিক কি সাংসারিক, উভয় জীবনই কর্ষণ অভাবে এবং নিয়ত বিষম প্রতিকুল কারণের সংঘর্ষে নিদারুণ মরুকাস্তার সদৃশ হইয় উঠে। প্রায় এমন উঘরত্বে আসিয়া উপস্থিত হয় যে, বহু কর্ষণেও আর তাহা হইতে ফসল লাভের সম্ভাবনা থাকে না । আমার স্বাক্ট কি জন্ত, কোথা হইতে, আমার কৰ্ত্তব্য কি, কি কবিতে এ সংসারে আসিয়াছি, কি কৰ্ম্ম করিতে আমি ক্ষমবান, কৰ্ম্ম আচরণের প্রয়োজন প্রকরণ ও পরিণাম কি, অথবা কৰ্ম্ম কাহাকে বলে, সে সকল বিষয়ে একেবারে ক্ৰক্ষেপশূন্ত ; জ্ঞানশক্তি, স্বেচ্ছাশক্তি ও ক্রিয়াশক্তি স্পনাহীন এবং উদ্ভাবনী শক্তি সমূলে দগ্ধ ; এ পৃথিবী, এ সংসার যে কেবল আহার বিহারের স্থল নহে, আরও কিছু আছে, সে বিষয়ে নিরতিশয় অন্ধ। এ দিকে, প্রবেশদ্বারে তাহার স্তায় অনুরূপ-প্রকৃতি-বিশিষ্ট লোকের দ্বারা সংগঠিত । উন্মত্ত নব্য সামাজিকতা এবং সেই সামাজিকতার উন্মত্ত শাসন। প্রাচীন সামাজিকতার প্রতি ইহার কুঞ্চিতনাসিকায় বিমুখ ও শূন্তসম্বন্ধ,