পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার। পরশক্তি –বোধশুস্ত বাতুল, তুমি পরশক্তি-মোহে কেন এতটা মোহপ্রাপ্ত হইতেছ? বারেক ভাবিয়া দেখিয়াছ কি, তুমি নিজে কৰে কতটা আত্মশুভ সংসাধনান্তে, পরশুভসংসাধনে সমর্থ হইতে পারিয়াছ -ৈ আমি দেখিতেছি, পরশুভ দূরে যাউক, তোমার আত্মপ্তভই কিছুমাত্র সাধন করিয়া উঠিতে পার নাই, কত রকমেই না তাঙ্গ ক্ষুন্ন হইয়া রহিয়াছে ; এবং তাঁহারই পুরণ জন্ত হরি হরি । তাহার আবার সম্পূর্ণ পূরণ জন্ত তুমি অন্তের নিকট লালায়িত হইয়া ফিরিতেছ ! নিৰ্ব্বোধ, তুমি নিশ্চয় জ্ঞান হারাইয়াছ, নতুবা ইহাও কি তোমার নিকট একেবারে অপরিজ্ঞাত যে, তুমি যাহার নিকটসেরূপ লালায়িত হইতেছ, সেও ত তোমার মত মানব ? যে নিজের অভাবই পূরণ করিয়া উঠিতে পারে না, সে আবার তোমার অভাব পূরণ করিয়া দিবে ? অথবা তোমার অভাব পূরণ করিবে বলিয়া সেত পৃথক স্বস্ট হয় নাই ! তবে যে তুমি সে লোকে তোমাপেক্ষা কিছু অধিক চতুরতা দেখিয়া থাক, সেও তোমার খরচে । তোমার সঙ্গে তাহার প্রভেদ এই, তুমি মূৰ্খ, সে চতুর ; তুমি স্বনিহিত শক্তিতে অজ্ঞ, সে স্বনিহিত শক্তিতে প্রবুদ্ধ ; তুমি আপন অর্থ সাধিতে পার না, সে তাহা পারে। কিন্তু তোমার কাণ ধরিয়াও সে যখন আপন অর্থে সঙ্কুলান বোধ করিতেছে না, তখন তুমি তাহার পা ধরিয়া আপন অর্থ সন্ধুলান করাইয়া লইবে ? বুদ্ধি বটে —এ বুদ্ধি অপেক্ষ মানবমণ্ডলীতে মূখর্তার অতিসীমা আর কি হইতে পারে ? সাধারণতঃ পরের নিকট পরের অাশা আর সংস্কৃত কবির জীর্ণ তরুর নিকটে পথিকের আশ্রয় প্রত্যাশা, উভয়ই সমান।—“পথিকছদয়ঘৰ্ম্মং সোহপি বাঞ্ছাং করোতি।”