পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఆss औक ७ श्लूि । পদার্থ আছে, তাহীও ইহার কখন কখন অনুভব করিয়া থাকে বটে, কিন্তু ইহাও অন্ত্রভাবিত যে, সে পাণ্ডিত্য অস্ত কিছু নহে, তাহt কেবল ইংরাজী শব্দ ও ব্যাকরণ শিক্ষা বাদে, বিজ্ঞান ইতিহাস প্রভৃতি আর যে সকল অনাবশ্বক বিষয় অর্থাৎ যাহা চাকুরীতে লাগে না, অথচ যাহা অধিকন্তুরূপে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষণ দেওয়া হয়, সেই সকল কিঞ্চিৎ কিঞ্চিৎ কণ্ঠস্থ করিয়া রাখা ও স্থানবিশেষে উগীরণ করা। ইহারা গ্রন্থাদি প্রণয়নও করিয়া থাকে অপৰ্য্যপ্ত ; প্রতি চটী চাপাটী—অপাঠ্য চটী চাপাট হাতে ধরিয়া, এবং আজি কালি সংবাদপত্র লিথিয়াও, কেহ “মহাকবি কেহ "প্রসিদ্ধ গ্রন্থকার” এই সকল হইয়া থাকে। তবে সৌভাগ্যের বিষয় এই যে, যে সকল দেশের লোক কার্লাইল, গেটে, রিজটার প্রভৃতি লেখককে লেখক বলিয়া থাকে ; তাহারা আমাদের এ ছুচোর কীৰ্ত্তন দেখিতে পায় না। দেখিতে পাইলে, আমাদিগকে না জানি কি অসার বলিয়াই মনে করিত ! সে যাহা হউক, সে কালে অধ্যাপক ও পাটোয়ারী এবং একালে চাকুরে, সাধারণতঃ ইহারা ভিন্ন ; ব্যবসায়ী, শিল্পী, কৃষক বা অপরাপর ব্যক্তিদিগের শিক্ষার যে কিছু আবশ্বকত। আছে, তাহ এই দুই কালের এককালেও ধারণা ছিল না এবং নাই। এখানে মেয়ে লেখা পড়া শিখে না, চাকুরী করিতে পাইবে না বলিয়া ; অপরাপর জাতিতে শিখে না, তদ্বারা পিতৃব্যবসায়ে অপারগ হইবে বলিয়া। এ সকলের কথাত দুরের কথা ; শিক্ষিতের পক্ষেও অনেক সময়ে অনেকের মুখে শুনিতে পাই,—“কেবল একরাশি কেতাব পড়িয়া কেতাবকীট হইলে কি হইবে ? কাজের মানুষ হও কাজে আসিবে।” কাজ ?—যে কোন উপায়ে স্বচ্ছদে উদরপূৰ্ত্তি কবিরও অনেক পড়িতে শুনিতে নাই, যেহেতু তাঁহাতে