পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় প্রস্তাব । ৭৩ তখন তাহার যে কোন একটা অবলম্বন করিবার পূৰ্ব্বে, আমাদের কতটা পরিমাণে বিবেচনা ও অনুধ্যান করিয়া চলা উচিত । এখন, সেই প্রাচীন ও ইতিহাসের অমৃদয় সময়, যখন হিন্দুর পূৰ্ব্বপুরুষ ও গ্রীকের পূর্বপুরুষগণ আদিমস্থান পরিত্যাগে উপনিবেশিত দেশাভিমুখে যাত্রা করিয়াছিল, তখনকার কথা একটু আলোচনা করিয়া দেখা যাউক । গ্রীকদিগেরও তাহ আদিমকাল, হিন্দুদিগেরও তাঁহা আদিমকাল। কিন্তু তথাপি, ভাষাতত্ত্ববিৎ পণ্ডিতগণ ভাষাতত্ত্ব অনুশীলন দ্বারা নিরূপণ করিয়াছেন যে, গ্রীক এবং হিন্দুগণ স্ব স্ব দিগন্তাভিমুখে বহির্গত হইয়া যাইবার পূৰ্ব্বে, যখন স্বীয় আদিমস্থানে একজাতিভাবে অবস্থিতি করিতেন ; তখনও তাহারা এতদূর উৎকর্ষ লাভ করিয়াছিলেন যে, তাহদের বাসভূমিতে পুর নগর ও গৃহ অট্টালিকাদি নিৰ্ম্মাণের অসদ্ভাব ছিল না ; নৌকাচালন, বস্ত্রবয়ন আদি বিবিধ ব্যবসায় ও শিল্প সকলের অনুশীলন হইত ; বিবিধ পশুপালন এবং যানবাহনাদিরও বহুল উল্লেখ দেখা যায় ; এবং র্তাহাদের জীবিকা নিৰ্ব্বাহ হইতে প্রধানতঃ হলচালন ও কৃষিকাৰ্য্য অনুষ্ঠানের দ্বারা । ইহার কৃষিকার্য্যের এতই প্রতিষ্ঠা ও কৃষি অবলম্বন জন্য আপনাদিগকে এতই শ্রেষ্ঠ জ্ঞান করিতেন যে, অন্ত জাতি হইতে আপনাদিগকে পৃথক্ করিতে ও আপনাদের শ্রেষ্ঠত্ব জ্ঞাপনার্থে, হলার্থবোধক ‘অবু’ শব্দ প্রস্থত ‘আর্য্য' নামে আপনাদিগকে আখ্যাত করিয়াছিলেন। পৃথিবীস্থ তাৎকালিক আর যে কোন জাতি, যে কোন বিষয়ে হউক, কোন প্রকারে তাহীদের সমকক্ষ ছিল না ; অথবা আর কোন জাতিই তাদৃশ উৎকর্ষলাভে সক্ষম হইতে পারে নাই ; প্রত্যুত তাহারা এতই অপকৃষ্ট ও হীন ছিল যে, জীবিকার্থে পশুপালন ও মৃগয়ামাত্র অবলম্বন করিয়া, অনাশ্রমীভাবে দিগ দিগন্তে ঘুরিয়া