পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৮

Ե Հ यौक ७ श्नूि। ফিরিদী পর্য্যন্ত সাজিতে যাওয়া অবশুই অতি দৌড়ের কথা ! ততটা না হউক, কিন্তু উক্ত কারণস্রোতে এক্ষণে পূৰ্ব্বতন অনেক বিষয় যে প্রবল বেগে ভাসিয়া গিয়া অনেক নূতন নূতন বিষয়কে স্বস্থান দান করিবে, তাহাতে আর সন্দেহমাত্র নাই এবং ইহাও নিশ্চয় যে, কেহই তাহা আটকাইয়া রাখিতে পরিবে না । হওয়াও উচিত এবং এ স্থত্রে ব্যবহারটা যদি সুমার্জিত হয়, সেটা আরও প্রার্থনীয় । ব্যবহারের উপর জাতীয় উন্নতি অবনতি বহু পরিমাণে নির্ভর করিয়া থাকে –কিন্তু বলিতে লজ্জা করে, যে, পূৰ্ব্বে যাহাই থাকুক, অধুনাতন ভারতীয়ের তুল্য কুমার্জিতলোকব্যবহারযুক্ত জাতি জগতের সভ্যমণ্ডলীতে আর কোথাও আছে কি না সন্দেহ । ২ । বৈষয়িক কারণ । অতঃপর বৈষয়িক কারণের বিষয় কিঞ্চিৎ আলোচনা করা যাউক । ব্যবহারিক কারণ যেমন গন্তব্য স্থানে আগমনের পূর্ব হইতে কাৰ্য্য করিতে আরম্ভ করিয়াছে ; বৈষয়িক কারণ সেরূপ নহে। তাহার কাৰ্য্য প্রায় গন্তব্য স্থানে উপনীত হওয়ার পর হইতে আরম্ভ হয়। বিজ্ঞানবিদেরা অনেক মস্তিষ্ক চালনা দ্বারা নিরূপণ করিয়াছেন যে, মানবের সাধারণ জীবিকাবিষয়ক বৃত্তি সমুদায় যতদিন স্বচ্ছলতার সহিত পরিতৃপ্ত না হয়, ততদিন তন্নিমিত্ত ব্যস্তত বশতঃ, মানবগণ অন্যান্য উচ্চতর বিষয়ে মনঃসংযোগ করিতে অপারগ হইয়া থাকে। হিন্দুর জীবিকাবিষয়ক অস্বচ্ছলতার হাত হইতে, বোধ হয়, ভারতে আগমনের দিন হইতেই নিস্কৃতি পাইয়াছিলেন । ভারতের যে স্থানে যাও, তথায়েই স্বচ্ছসলিলা নদীসকল প্রবাহিত ; বর্ষাগমে তাহারা পল্লল দ্বারা সন্নিকটস্থ ভূমি সমস্তকে উর্বরা হইতে উৰ্ব্বরতর করিতে পটু ৷