পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় প্রস্তাব । ♥ ማ হেতু, মানবেরা অনায়াসলভ্য ফল মূল শস্যাদি সংগ্রহ দ্বারা ক্ষুৎপিপাসা প্রভৃতি পরিতৃপ্ত করিতে সমর্থ হয়। শৈত্যপ্রধান দেশে তাপবৃদ্ধির জন্য ব্যয়-বাহুল্য এবং কষ্টলভ্য যে সকল গরম গাত্রাবরণের সর্বদা আবশ্বক হয়, এখানে লোকের তন্নিমিত্ত সেরূপ ভাবিতে হয় না। এক কথায় অন্নবস্ত্র যে পরিমাণে আবশ্যক, তাহা ইহাদের অল্পায়াসেই লাভ হইয়া থাকে। মালথুস নামক জনৈক ইংরেজ গ্রন্থকার কর্তৃক লোকতত্ত্ব-নিরূপণ বিষয়ক পুস্তকে প্রদর্শিত হইয়াছে যে, পৃথিবীর সৰ্ব্বত্র অন্নবস্ত্রের স্বচ্ছলতা ও অস্বচ্ছলতা অনুসারে মানববংশ উন্নত অবস্থায় নীত বা ইতর অবস্থায় অবনমিত, এবং বংশস্থ লোকসংখ্যা বৃদ্ধি বা হ্রাসত প্রাপ্ত হইয়া থাকে ; কখন কখন রা অধিক স্বচ্ছলতা হেতু লোকসংখ্যা অপরিমিতভাবে বৃদ্ধি হইয়া যায়। এ কথা নিতান্ত অসত্য নহে । এই মত ধরিতে গেলে, উক্তরূপ প্রকৃতিবিশিষ্ট উৰ্ব্বর ও উষ্ণ দেশে লোকসংখ্যা অচিরাৎ বৃদ্ধি প্রাপ্ত হইবার কথা। এই লোকবৃদ্ধিসহকারে এবং মানবের উষ্ণদেশজ স্বাভাবিকী আলস্যপ্রিয়তা হইতে, সাধারণ লোকের মধ্যে আহারীয় বস্তুর অপেক্ষাকৃত দুষ্প্রাপ্যতা উপস্থিত হওয়ায়, বর্তমান অপেক্ষ অধিক উৎপাদনের প্রয়োজন হেতু অধিক পরিমাণে শ্রমের আবশ্যক হইয়া থাকে ; সুতরাং আগে যাহারা যে কোন উপায়ে বসিয়া খাইত, তাহদেরও শ্রম নিরত হওয়ার প্রয়োজন হয়। তাহ হইলে কাজেই শ্রমজীবীর সংখ্যা অধিক হইয়া পড়ে, কাজেই পরিশ্রমেরও মূল্য কমিয়া যায়। তখন এই সুযোগে, পূৰ্ব্বার্জিত ধনযুক্ত সৌভাগ্যশালী যাহারা, তাহারা অল্পব্যয়ে অধিক শ্রম বিনিময়ে পাইয়া, বহুধন সঞ্চয় বা যথা অভীপিত কার্যকরণে সমর্থ হয় ; ইহাতে অন্য দিকে, শ্রমশালীরা ক্রমে সেই পরিমাণে নিধন এবং সৌভাগ্যশালীদের পদনত হইয়া আইসে। এই নিমিত্ত, এবস্তুত দেশমধ্যে, অতি