পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

నెని গ্রীক ও হিন্দু। অপেক্ষ অনেক বেশী। চিন্তা-উত্তেজক বাহাজগৎ পরিবৃত্ত আর্য্যদিগের চিত্ত, পারলৌকিক বিষয়ে অধিক পরিমাণে সমাহিত থাকায় ; অবসরকাল এবং চিন্তাশক্তি, কেবল বিলাসভোগে ও বিলাসপোষক বস্তু উদ্ভাবনে ব্যয়িত না হইয়া, ধৰ্ম্মচৰ্য্যা ও তত্ত্ববিদ্যার অমুশীলনেই সমধিক পরিমাণে ব্যয়িত হইত। এই নিমিত্ত ইহা বলিলে বোধ করি অসঙ্গত হইবে না যে, মিসরীয়ের যথায় পীড়ামিড লাভ করে,আৰ্য্যের তথায় বিজ্ঞান তত্ত্বাদি লাভ করিয়াছিলেন । যেখানে যেমন কৰ্ম্মের অনুষ্ঠান, সেখানে সেই কৰ্ম্ম-প্রকৃতি অনুসারেই, কৰ্ম্মকারকের উপর ব্যবহার নিরূপিত ও প্রবৰ্ত্তিত হয় ; সুতরাং এতদুভয় দেশভেদে, নিম্নশ্রেণীর প্রতি ব্যবহার সম্বন্ধে,এ কথা স্বচ্ছন্দে বলিতে পারা যায় যে, ভারতীয়ের যথায় কেবল হেয়ঞ্জান করিয়া ও দাসকার্য্য মাত্র করাইয়া লইয়া ক্ষান্ত হইতেন ; মিসরীয়েরা তথায় পীরামিড তৈয়ার না করাইয়া ছাড়িত না । যাহা হউক, এক্ষণে ভারতের এই শীঘ্র উদিত সভ্যতার বিষয় আলোচনা করিবার পূৰ্ব্বে, অগ্রে একবার গ্রীকদিগের প্রকৃতিভেদ ও তছুদিত সভ্যতার উদয় তত্ত্ব কিঞ্চিৎ আলোচনা করা কৰ্ত্তব্য । বাহপ্রকৃতি সম্বন্ধে, ভারত যদ্রুপ বহুমূৰ্ত্তিবিশিষ্ট, গ্রীকদিগের অধিবাসিত ভূখণ্ড তদপেক্ষ যদিও বহুলাংশে নূ্যন বটে ; কিন্তু গ্রীসের প্রকৃতিবৈচিত্র সঙ্কীর্ণ স্থান মধ্যে সন্নিবেশিত হওয়ায়, তাহা পরিমাণতিরিক্ত গাঢ়তাপূর্ণ এবং চিত্তাকর্ষকরূপে প্রতীয়মান হয় । তত্ৰাধিবাসকৃত মনুষ্য প্রকৃতি সম্বন্ধে, উহার পরিণামফলও অবহু তদনুসারী হওয়ার কথা । ফলত সামান্ত আয়তনে সন্নিবিষ্ট হেতু গ্রীসীয় প্রকৃতিবৈচিত্র এতই গাঢ় যে, তাঁহার তুলনায়, দুরবিক্ষিপ্ত ও আয়ত্তাতীত ভাব হেতু, ভারতীয় বিশাল বৈচিত্রও যেন কেমন বিরল ও মলিন ৰলিয়া বোধ