পাতা:ঘরের কথা ও যুগসাহিত্য - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিচায়িকা «ԳՀԻ দীনেশচন্দ্র সেন সাহিত্যের ইতিহাসকার এবং সাহিত্যিক। তিনি নানা জায়গা থেকে বহু পরিশ্রমে অজস্র পুথি আবিষ্কার করে ১৮৯৬ সালে বঙ্গভাষা ও সাহিত্য রচনা করেন। ধারাবাহিকভাবে বৈজ্ঞানিক প্ৰণালীতে তিনি সাহিত্যের ইতিহাস রচনা করে বাঙালী জাতি ও তার রচিত সাহিত্যের পরিচয় দিয়েছেন। বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (১ম খণ্ড ও ২য় খণ্ড, ১৯১৪) তার আর-এক অসামান্য কীর্তি। তিনি ছিলেন রবীন্দ্রনাথের সমসাময়িক। উভয়ের মধ্যে মধুর ও সৌহার্দ্যের সম্পর্ক ছিল। তিনি একদিকে যেমন বাংলা সাহিত্যের নিরলস গবেষক ও রাসগ্রাহী সমালোচক ছিলেন তেমনি অন্যদিকে বহু মৌলিক রচনা ও গ্রন্থ সম্পাদনা করে গেছেন। তিনি ছিলেন সাহিত্যের সাধক ও যুগপুরুষ। দীনেশচন্দ্রের জন্ম ৩রা নভেম্বর ১৮৬৬ সাল। তার পিতা ঈশ্বরচন্দ্ৰ সেন ঢাকা জেলার ধামরাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। দীনেশচন্দ্ৰ পিতা-মাতার আদরের সস্তান ছিলেন। মাত্ৰ বারো বছর বয়সে বিনোদিনী দেবীর সঙ্গে দীনেশচন্দ্রের বিয়ে হয়। সুয়াপুরের গ্রামের পাঠশালায় দীনেশচন্দ্রের লেখাপড়া শুরু হয়। এরপর মাণিকগঞ্জের মাইনর স্কুলে তিনি ইংরেজি শেখেন। এখান থেকে ছাত্ৰবৃত্তি পাশ করে তিনি ঢাকায় চলে আসেন। ছাত্রপাঠ্য বই বিশেষতঃ গণিতের ওপর তার ভীতি ছিল। আর সাহিত্যের বই ছিল তার পরম আদরের। ইংরেজি সাহিত্য তিনি সাগ্রহে পাঠ করেছিলেন। বি.এ. পড়ার সময় তাঁর পিতা-মাতার মৃত্যু হয়। তাই আকস্মিকভাবে তার প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনায় ছেদ পড়ে এবং সংসারের দায়িত্ব তার স্কন্ধে এসে পড়ে। তাই শ্ৰীহট্ট জেলার হবিগঞ্জ এসে তিনি ৪০ টাকা