পাতা:ঘরের কথা ও যুগসাহিত্য - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8S9 ঘরের কথা ও যুগ-সাহিত্য অভিনন্দিত করিয়া গান শুনিয়াছি। কিন্তু হঠাৎ যেন তিনি রাগিয়া গিয়া গান বন্ধ করিয়া ফেলিলেন, “একদিন৷” পৰ্য্যন্তও কণ্ঠ স্বরটি গানের মতই থাকিল তার পর “ধাত্তয়” কথাটা আয়-গান নয়, সত্য-সত্যই যেন কৰি রাগিয়া গিয়া চোটের সহিত “ধাত্তয়” কথাটা বলিয়া গানটা থামাইয়া দিলেন তারপর “ব’লে। বুক কোথায় গেল চলে।” আবার গানের সুয়ে আৱদ্ধ হইল। ময্যের"ষত্তর” শব্দটা বৈরাগ্য-ব্যাজক নিছক গন্ত ; ঐ কথাটা ক্ৰোধের ভাবে উচ্চারণা করিবার সময় তারা ভুর দুটি সত্য সত্যই কুকিত হইত এবং মুখখানি বিরক্তি ও কুটিলতার ভাব ধারণা করিত। তাহার অপেক্ষ ঢ়ের মিষ্ট স্বরে এই সকল গান অপর গায়কের গাহিয়া থাকেন, কিন্তু তাহার মত এই সকল গানের কমা, সেমিকলন দিয়া গাহিয়া কেহই সেরূপ প্ৰাণ প্ৰতিষ্ঠা করিতে পারেন না-রঙ্গরসের দেবীকে শ্রোতৃবর্গের সাক্ষাতে তেমন করিয়া আনায়ন করিতে পারেন না। একদিন তাহার বাড়ীতে তিনি আমার নিকট তাহার পুত্র দিলীপের সঙ্গে নাচিয়া নাচিয়া, “আমরা ইরান দেশের কাজী”এই গানটি গাহিয়াছিলেন,-দিলীপ ছিলেন তখন ৯/১০ বৎসর বয়স্ক, পিতা-পুত্রের গান যা শুনিয়াছিলাম, নৃত্য বা দেখিয়াছিলাম, আমার মনের মধ্যে তার একখানি ফটোগ্ৰাফ ব্লছিয়া গিয়াছে, এতদিনেও মুছিয়া যায় নাই। আর একদিন নগেন্দ্ৰনাথ বাম মহাশয়ের কন্যা বিবাহের উপলক্ষে দ্বিজেন্দ্ৰবাবু উপস্থিত হইয়াছিলেন, তাহার পার্থে ছিলেন রায়সাহেব হারাণ চন্দ্র রক্ষিত,-যেরূপ দুই একটা কথাবার্তা হইতেছিল, তাহাতে গতিক ভাল না বুবিয়া স্নায়সাহেবমহাশয়কে হাতে ধরিয়া আমার বাড়ীতে উঠাইয়া আনিলাম। দিলীপবাবু এখন বিলাতে গিয়াছেন—তাহার সম্বন্ধে এণ্ডাসন সাহেব আমাকে অনেক প্ৰশংসার কণা লিখিয়াছিলেন, সে পত্ৰখানি আমার কাছে আছে । আমার কাটাপুকুরের বাড়ীর প্রতিবেশী ছিলেন নাট্টাচাৰ্য্য গিরীশচজ