পাতা:ঘরের কথা ও যুগসাহিত্য - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

घ ঘরের কথা ও যুগসাহিত্য Eastern Bengali Prose style (1921), Chaityana and His Age (1922), Eastern Bengal Ballads Mymensing (vol I, Pt I, 1923, Vol II, pt I, 1926, Vol III, pt I, 1928, Vol IV, pt I, 1932), Glimpses of Bengal Life (1925) দুই নিজেকে জানার আকৃতি মানুষের প্রবল। এই আকৃতি থেকে মানুষ। শুধু নিজেকেই জানে না, সেই সঙ্গে দেশ-কালকেও সে চিনে নেয়। কবির কাজও তাই। তিনি নিজেকে দেশ-কালের প্ৰেক্ষাপটে প্ৰতিষ্ঠা করে ইতিহাসের সত্যকে নিরীক্ষণ করেন। তাই আপন রচনার সঙ্গে আত্মপরিচয় জ্ঞাপন কবির কাছে অনিবাৰ্য হয়ে ওঠে। রবীন্দ্রনাথ তার গানে বলেছেন— আপনাকে এই জােন? আমার ফুরাবে না। এই জানারই সঙ্গে সঙ্গে তোমায় চেনা। প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে আত্মবিবরণী রীতি গড়ে উঠেছিল। কৃত্তিবাস-মুকুন্দা-রূপরাম তাদের আত্মবিবরণীতে আপনআপন জীবন সংগ্রামের পরিচয় দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তাদের রচনায় উনিশ শতকে বাঙালী ইংরেজি মাধ্যমে নবদীক্ষা গ্ৰহণ করেছেন। লেখকের মানস দিগন্তে ঋতুবদল ঘটে গেছে। লেখক নিজেকে দেখেছেন দেশ-কালের পটভূমিতে। তীব্র আত্মমুখী জিজ্ঞাসা দেশ-কালের মাত্রায় প্রসারিত হয়ে বিশ্বজনীন হয়ে উঠেছে। লেখকের মানবিক আকুতির অন্যতম ফসল হল আত্মকথা । আত্মকথা লেখকের অ্যাপন হাতের দপণ। এই দপণে তিনি নিজেকে দেখেন এবং অন্যকে দেখান। স্মৃতির চকমকি ঘষে নানা কৌণিক আলোয় জীবনের পূর্ণাঙ্গ চলচ্ছবি তৈরি করেন আত্মকথার লেখক। তার আপনি জীবনের আলোক বর্তিকায় দেশ-কাল উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে।