পাতা:ঘরের কথা ও যুগসাহিত্য - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

5 ঘরের কথা ও যুগসাহিত্য দীনেশচন্দ্ৰ তার গ্রন্থের প্রারম্ভে তাদের একখানি বংশলতিকা দিয়েছেন। জ্যৈষ্ঠ পিতামহ রমানাথ সেন, পিতামহ রঘুনাথ সেনের কথা পর-পর দুটি অধ্যায়ে তিনি বলেছেন। পুর্বপুরুষদের হস্তলিপির আকর্ষণীয় করে তুলেছেন। ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে তিনি সুয়াপুর গ্রামের প্রাচীন ইতিহাস লিখেছেন। ভাষাতাত্তিক কৌতুহলের পরিচয় দিয়ে তিনি “কোটপালক, নাণ্ডামুণ্ডা’, ‘নান্না-মুন্না’, ‘দাসগুপ্ত’ প্রভৃতি শব্দের বুৎপত্তি করেছেন। তিনি তঁর পিতৃদেব ও পিতৃদেবের আত্মীয়গণের কথা সবিস্তারে বলেছেন। এরপর তার শিক্ষা-দীক্ষা, তাদের তিনি দিয়েছেন। দীনেশচন্দ্র সে কালের শিক্ষা ও পাঠ্যগ্রন্থের চমৎকার পরিচয় দিয়েছেন। রামায়ণ-মহাভারত, অক্ষয়কুমার দত্তের চারুপাঠ, বৈষ্ণবগ্রন্থ, চণ্ডীমঙ্গল, শিশুবোধক প্রভৃতি নানা গ্রন্থের উল্লেখ তিনি করেছেন। মাত্র ১০ বছর বয়সে রচিত জলদ’ নামক কবিতা “ভারতসুহৃদ” পত্রিকায় ছাপা হলে বালক কবি দীনেশচন্দ্রের আনন্দের সীমা ছিল না। র্তার সাহিত্যপাঠ ও লেখালেখির নানা কথা তিনি স্মৃতিচারণায় বলেছেন। তার কালের কালীপ্রসন্ন ঘোষ, দীনেশচরণ বসু, বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী, কৈলাসচন্দ্ৰ সিংহ প্রভৃতি নানা গুণীজনের কথা এই গ্রন্থে আছে। বাংলা পুঁথির প্রতি দীনেশচন্দ্রের বিশেষ আকর্ষণ ছিল। মৃগলুব্ধ’ পুথিখানি হাতে পেয়ে তার আনন্দের সীমা ছিল না। বহু গ্রামে ঘুরে ঘুরে তিনি অজস্র পুথি সংগ্রহ করেছেন এবং সেগুলির সাহায্যে তিনি পরবর্তীকালে “বঙ্গভাষা ও সাহিত্য” রচনা করেন। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী তাকে এ কাজে উৎসাহিত করেন। দীনেশচন্দ্ৰ তার কলকাতায় আগমন এবং বিদ্যাসাগর-বঙ্কিমচন্দ্ৰ-রামদয়াল মজুমদারের সঙ্গে তার সাক্ষাৎকারের চমৎকার বিবরণ দিয়েছেন। হীরেন্দ্ৰনাথ দত্ত, সুরেশচন্দ্ৰ সমাজপতি, বিপিনচন্দ্ৰ গুপ্ত, ব্যোমকেশ মুস্তাফি, রামেন্দ্রসুন্দর ত্ৰিবেদী, গগনেন্দ্রনাথ-অবনীন্দ্রনাথ, সমরেন্দ্ৰনাথ ঠাকুর, রবীন্দ্ৰনাথ ঠাকুর,