বাল্মীকি দল ছেড়ে চলে গেছে, ডাকাত-সর্দার অক্ষয়বাবু গান ধরলেন,
রাজা মহারাজা কে জানে,
আমিই রাজাধিরাজ।
আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘তুমি উজির’, আর-একজনের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘কোতোয়াল তুমি’, আর অডিয়েন্সের সাহেব-সুবোদের আঙুল দিয়ে দেখিয়ে বললেন, ‘ঐ ছোঁড়াগুলো বর্কন্দাজ’, বলে স্টেজে এক ঘূর্ণিপাক। আমি ভাবছি, করেন কী অক্ষয়বাবু। ভাগ্যিস সাহেবরা বাংলা জানে না; তাই তারা অক্ষয়বাবুর গানের প্রতি লাইনে হাততালি দিয়ে যাচ্ছে।
দস্যু সর্দার বসলেন রাজাধিরাজ হয়ে হাত-পা ছড়িয়ে, আমাদের দিকে হাত নেড়ে পা দেখিয়ে বললেন,
পা ধোবার জল নিয়ে আয় ঝট্,
কর্ তোরা সব যে যার কাজ।
বললেন সুর করে,
জানিস না কেটা আমি!
আমরা বললুম,
ঢের ঢের জানি—ঢের ঢের জানি—
ভারি ফুর্তি আমাদের, দস্যু-সর্দারকে মানছি নে, উলটে আরো বকছি,
খুব তোমার লম্বাচওড়া কথা।
নিতান্ত দেখি তোমায় কৃতান্ত ডেকেছে।
সে যা অভিনয়; আমন আর হয় নি, কখনো হবেও না। ডাকাতের দল সেবারে স্টেজ মাৎ করে দিয়েছিল, স্টেজে ডাকাত ঢুকলেই হল একবার, চারি দিক থেকে অডিয়েন্স উৎসাহে হাততালি দিয়ে, এন্কোর বলে, সে এক কাণ্ড।
অক্ষয়বাবু সেবার যা ডাকাত সেজেছিলেন, লাটসাহেবের মেম তাঁর খুব প্রশংসা করলেন। বললেন, এ-রকম অ্যাক্টার যদি আমাদের দেশে যায় তবে খুব নাম করতে পারে। অক্ষয়বাবুর কী দেমাক, একেবারে
১২৩