আমি বললুম, যাও মালীর দোকান থেকে রুপোলি কাগজ নিয়ে এসো।
নন্দলাল তখুনি দু-সিট রুপোলি কাগজ নিয়ে এল।
বললুম, কাটো, বেশ বড়ো করে একটি প্রতিপদের চাঁদ কঁচি দিয়ে কাটো, আর গুটি দুই-তিন তারা।
নন্দলাল বেশ বড়ো করে চাঁদ গুটি দুই-তিন তারা রুপোলি কাগজের সিট থেকে কেটে নিয়ে এল।
আমি বললুম, যাও বেশ ভালো করে আঠা লাগিয়ে আকাশের গায়ে সেঁটে দাও। ভালো করে দিয়ে, শেষে যে আধখানা চাঁদ ঝুলে পড়বে আকাশের গা থেকে তা যেন না হয়।
নন্দলালকে পাঠিয়ে মন সুস্থির হল না। নিজেই গেলুম দেখতে ঠিকমত লাগানো হয় কি না।
নন্দলালকে বললুম, এখন কাউকে কিছু বোলো না। আজ রাত্তিরে যখন ড্রেস রিহার্সেল হবে তখন সবাই দেখবে।
তার পর স্টেজেতে নীল পর্দার উপরে যখন লাইট পড়ল, যেন সত্যিকার আকাশটি। সবাই একেবারে মুগ্ধ।
নন্দলালকে বললুম, নন্দলাল, দেখে নাও।
কী চমৎকার দেখাচ্ছিল। শেষ টাচ, এক চাঁদ আর গুটি-দুই ঝক্ঝকা। সেই চাঁদ ডাকঘরেও আছে, ফোটোতে দেখতে পাবে।
সেইবার ফাল্গুনীতে আমি সেজেছিলুম শ্রুতিভূষণ। শান্তিনিকেতন থেকে ছোটো ছোটো ছেলেরাও এসেছিল বলেছি। ওখান থেকে গানটান কোনোরকম তৈরি করে আনা হত, আসল রিহার্সেল এখানেই হত আমাদের নিয়ে। খুব জমে উঠেছে রিহার্সেল। মণি গুপ্তও ছিল এখানে দলের মধ্যে। দেখি ওর কোনো পার্ট নেই।
বললুম, তুইও নেমে পড়্, অভিনয়ে—
কী পার্ট দেওয়া যায়।
বললুম, আমার চেলা সেজে ঢুকে পড়্। বলে তাকেও নামিয়ে
১৩৪