পাতা:ঘর-পোড়া লোক (প্রথম অংশ) - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
8
দারােগার দপ্তর, ৭৪ম সংখ্যা।

আছেন যে, নৈমিষারণ্য নামে একটী স্থান আছে, উহা আমাদিগের একটী প্রধান তীর্থ স্থান। পশ্চিমদেশ-বাসীগণ সেই স্থানকে নিম্‌সারণ কহিয়া থাকে।

 কথিত আছে, ভগবান্ বেদব্যাস এই স্থানে বসিয়া ভগবদ্‌বাক্য সর্ব্বপ্রথমে মর্ত্ত্যলোকে প্রকাশ করেন। যে বেদীর উপর উপবেশন করিয়া তিনি ভগবদ্‌বাক্য পাঠ করিয়াছিলেন, নিবিড় ও নিস্তব্ধ আম্র কাননের ভিতর সেই বেদী এখন পর্য্যন্ত বর্ত্তমান। সেই বেদীর কিছু দুর অন্তরে চক্রপাণি নামক প্রসিদ্ধ স্থান। প্রসিদ্ধি আছে যে, যে সময় ভগবান্ বেদব্যাস ভগবদ্‌বাক্য প্রকাশ করিতেন, সেই সময় দেবতাগণ ও ঋষিগণের আবির্ভাব হইত। সেই স্থানে তখন একটী সামান্য শ্রোতস্বতী থাকা স্বত্বেও সেই স্থানে যাঁহারা আগমন করিতেন, তাঁহাদিগের প্রত্যেককেই অল্পাধিক জল-কষ্ট সহ্য করিতে হইত। ভগবান্ বিষ্ণু এই ব্যাপার দেখিয়া জল-কষ্ট নিবারণ করিবার মানসে আপনার চক্র দ্বারা পৃথিবী ভেদ করিয়া দেন, সেই স্থান হইতে সতেজে অনবরত জল উত্থিত হইয়া সকলের জল-কষ্ট নিবারণ করে। সেই সময় পৃথিবী ভেদ করিয়া যে স্থান হইতে জল উঠিয়াছিল, এবং এখন পর্য্যন্ত যে স্থান হইতে অনবরত জল উত্থিত হইয়া সন্নিকটবর্ত্তী সেই ক্ষুদ্র স্রোতস্বতীতে গিয়া মিলিতেছে, সেই স্থানকে চক্রপাণি কহে। নৈমিষারণ্য তীর্থে যাঁহারা গমন করিয়া থাকেন, তাঁহাদিগকে চক্রপাণি জলে স্নান করিতে হয়।

 দশ বার বৎসর পূর্ব্বে কোন সরকারী কার্য্য উপলক্ষে আমাকে সেই নৈমিষারণ্যে গমন করিতে হইয়াছিল। যে