পাতা:ঘর-পোড়া লোক (প্রথম অংশ) - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ঘর-পােড়া লােক।
৪১

ভিতর কিরূপে আসিয়া উপস্থিত হইল। যখন প্রজামাত্রই বলিতেছে যে, গোফুর খাঁ তাঁহার পুত্ত্রের ন্যায়, সকলই অবগত আছেন, তখন গোফুর খাঁ এ সম্বন্ধে কিছুই অবগত নহেন, বা তাঁহার জ্ঞাতসারে এ কার্য্য ঘটে নাই, এ কথা বলিলেই বা কোন্ বিচারক তাহা বিশ্বাস করিবেন?

সপ্তম পরিচ্ছেদ।

 গোফুর খাঁর একজন অতি বিশ্বাসী কর্ম্মচারী ছিলেন, তাঁহার নাম হোসেন। পুলিস যখন প্রথম অনুসন্ধান করিতে আরম্ভ করেন, বা যে সময় গোফুরের গৃহে হেদায়েতের কন্যার মৃতদেহ পাওয়া যায়, সেই সময় হোসেন সেই স্থানে উপস্থিত ছিল না; জমিদারীর কার্য্য পর্য্যবেক্ষণ করিবার নিমিত্ত তিনি স্থানান্তরে গমন করিয়াছিলেন। তাঁহার মনিবের এইরূপ বিপদ উপস্থিত হইয়াছে জানিতে পারিয়া, জমিদারী হইতে তিনি আপনার মনিবের বাড়ীতে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। দেখিলেন, মনিব ও মনিব-পুত্ত্র উভয়েই হত্যাপরাধে ধৃত হইয়াছেন। তাঁহাদিগের উপর যে সকল প্রমাণ সংগৃহীত হইয়াছে, তাহা জানিতে পারিয়া, তিনি অতিশয় ভাবিত হইলেন। তখন এই বিপদ হইতে তাঁহার মনিবকে কোনরূপে উদ্ধার করিবার উপায় দেখিতে না পাইয়া, নির্জ্জনে গিয়া তিনি একদিবস রাত্রিকালে দারোগা সাহেবের সহিত সাক্ষাৎ করিলেন।