দেশ ছাড়িয়া কানপুরে গমন করেন। সেই সময় কানপুরে একজন মুসলমান বাস করিতেন। চামড়ার দালালী করিয়া তিনি দশটাকার সংস্থান করিয়াছিলেন, এবং দেশের মধ্যে মান-সম্ভ্রম ও একটু সবিশেষ প্রতিপত্তিও স্থাপন করিতে পারিয়াছিলেন। গোফুর খাঁ কানপুরে আসিয়া প্রথমে তাঁহারই আশ্রয় গ্রহণ করেন, এবং তাঁহারই নিকট অতি সামান্য বেতনে একটা চাকরী সংগ্রহ করিয়া লন। গোফুর খাঁ অতিশয় বুদ্ধিমান্ ও সবিশেষ কার্য্যক্ষম ছিলেন; সুতরাং অতি অল্পদিবসের মধ্যেই তিনি আপন মনিবের প্রিয়পাত্র হইয়া পড়েন, এবং ক্রমে তিনি তাঁহার মনিবের কার্য্যে সবিশেষরূপে সাহায্য করিতে সমর্থ হন্। দিন দিন যেমন তিনি তাঁহার মনিবের প্রিয়পাত্র হইতে ছিলেন, সেই সঙ্গে সঙ্গে তাঁহার বেতনও ক্রমে বর্দ্ধিত হইতেছিল।
সে যাহা হউক, যে সকল কার্য্য করিয়া তাঁহার মনিব সেই দেশের মধ্যে প্রতিপত্তি লাভ করিয়াছিলেন, পরিশেষে সেই সমস্ত কার্য্য গোফুর খাঁ নিজে সম্পাদন করিতে লাগিলেন। ইদানীং তাঁহার মনিবকে আর কোন কার্য্যই দেখিতে হইত না, সকল কার্য্য গোফুরের উপরেই নির্ভর করিত। গোফুরও প্রাণপণে এরূপ ভাবে কার্য্য সম্পন্ন করিয়া আসিতে লাগিলেন যে, তাঁহার মনিবের কার্য্য পূর্ব্ব অপেক্ষা আরও অতি উত্তমরূপে চলিতে লাগিল। সর্ব্বসাধারণে গোফুরের মনিবকে যেরূপ ভাবে বিশ্বাস করিতেন, গোফুরকে তাহা অপেক্ষা আরও অধিক বিশ্বাস করিতে লাগিলেন। এমন কি, সেই সময় গোফুরের মনিবকে পরিত্যাগ করিয়া ব্যবসায়ী মাত্রেই