প্রহরী। আর কি বন্দোবস্ত হইতে পারে?
হোসেন। আমরা আর সমস্ত ঠিক করিয়া দিতেছি, আপনাদিগের এক ব্যক্তি অনায়াসেই পাক করিয়া লইতে পারেন।
প্রহরী। আমরা সকলেই অতিশয় ক্লান্ত। সুতরাং আমাদিগের মধ্যে কাহারও দ্বারা সেই কার্য্য যে সম্পন্ন হইতে পারিবে, তাহা আমি বোধ করি না।
হোসেন। যদি এ কার্য্য আপনাদিগের দ্বারা না হয়, তাহা হইলে আপনাদিগের মধ্যে একজন যদি রন্ধনশালার নিকট উপস্থিত থাকিতে পারেন, তাহা হইলে আমার সমভিব্যাহারী একজন লোকের দ্বারা আমি কার্য্য করাইয়া লইতে পারি। আপনাদিগের সম্মুখে যদি আহারীয় প্রস্তুত হয়, তাহা হইলে আমরা উহাতে কিরূপে বিষ মিশ্রিত করিতে পারিব?
প্রহরী। অত গোলযোগে কায নাই। আমরা একরূপ জলযোগ করিয়াছি, এখন আর আহার করিবার ইচ্ছা নাই। সুতরাং আহারীয় প্রস্তুত করিবার আর প্রয়োজন কি? আপনারা ইচ্ছা করেন, তাহা হইলে আহারাদি প্রস্তুত করিয়া অনায়াসেই আহার করিতে পারেন।
হোসেন। আমি আমাদিগের আহারের নিমিত্ত বলিতেছি না। আপনারা যে আসামীদ্বয়ের সহিত আসিয়াছেন, তাহাদিগের আজ কয়েকদিবস হইতে আহার হয় নাই; কোন দিন অনাহারে, কোন দিন জলাহারে, দিন অতিবাহিত করিয়া আসিতেছেন। ইহাদিগের অদৃষ্টে যাহা আছে, তাহা পরে হইবে; কিন্তু এখন আমাদিগের ইচ্ছা, উঁহাদিগকে কিছু আহার করাই। এই নিমিত্ত আপনাদিগকে এত অনুরোধ করিতেছি।