চণ্ডকোশক । ፀዋ যে মস্তকে চূড়ামণি উচিত ভূষণ গণি - —তাহে কিনা দেখি তৃণচয় । কিরূপে ঘটিল ইহা ? —অহে ! প্রতিকুল বিধি কার পরে না হয় নির্দয় ? নিকটে গিয়া সাশ্রলোচনে ) মহাত্মন! আমাকে আপনার দুঃখের ভাগী করুন । বলুন, কিজান্ত আপনি এরূপ কার্য্যে প্রবৃত্ত হয়েচেন ? রাজা –(চিত্ত করিয়া বিহবল-ভাবে স্বগত) এই সাধু লোকটির বাক্য অন্তথা করা উচিত হয় না । ( প্রকাশ্যে ) দেখুন সাধু ! সবিস্তারে বলার এ দেশকাল নয় । তাই, সংক্ষেপে বলচি শুমুন । ব্রাহ্মণের ঋণে পীড়িত হয়ে আমি এই কাজে প্রবৃত্ত হয়েচি । এর পর, আর অধিক বলতে আমাকে অনুরোধ করবেন না । উপা –সেই জন্ত এই ধন দিচ্চি, গ্রহণ করুন । রাজা –( কর্ণে হাত দিয়া ঢাকিয় ) আমাদের মত লোকের এষ্ট ব্রাহ্মণ-বৃত্তি নিষিদ্ধ। আমার প্রতি যদি আপনার অনুকম্পাই হয়ে থাকে, তাহলে আমাকে মূল্যের হিসাবে ধন দান করুন। শৈব্য – ভয়-বাস্ত ভাবে নিকটে আসিয়া সবিনয়ে অঞ্জলিবদ্ধ হইয় ) মহাশয় আমি আপনার কাছে প্রথমে এসেছিলেম, আমাকে ছেড়ে আর কাউকে গ্রহণ করবেন না । আমাকে অনুগ্রহীত করুন, আমি আপনার শরণাগত হয়েচি । উপ। —( সাশ্রলোচনে ) ও গো ! এ লক্ষাৰ্দ্ধ স্বর্ণমুদ্র তোমাদের উভয়েরে করিতেছি দান, পরম্পরে যুক্তি করি’ বাহা ভাল বুঝ তাই করহ বিধান ॥ ( ধন অর্পণ )
পাতা:চণ্ডকৌশিক (জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর).djvu/৫৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।