পাতা:চণ্ডিকা-মঙ্গল.pdf/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইঞ্জিয় দশট এবং এই দশটার অধিষ্ঠাতা স্বল্প শক্তি বা তেজকে দেবতা বলে। সুতরাং প্রথমে বৈদিক দেবতা দশটা ছিল ৰথ দিক বায়ু, স্থৰ্য্য প্রচেতা, অর্থী, বহ্নি, ইন্দ্র, উপেক্স, মিত্র ও প্রজাপতি । পরে তাহাদেৱ গুণ ক্রিয়া ভেদে তেত্রিশ কোট হইয়াছে। সত্ত্ব গুণের স্থান কণ্ঠের উদ্ধে ; রজঃ নাভি হইতে কণ্ঠ পর্ষ্যস্ত এবং তমঃ নাভির অধোদেশে । মূল প্রকৃতি সত্ত্ব রজ: তম: এই তিন গুণের রঙ্গভূমি । আৰrর গুণত্ৰয় সকল সময় সমান থাকে না । পরস্পর পরস্পরকে অভিভূত করিতে চেষ্ট করে। যথা “ রজঃ মেমচাভিভুয় সত্বং ভবতি ভারত। রজঃ সত্বং তমশ্চৈব ভমঃ সত্ত্বং রজস্তথা ” । গীতা ১৪ অঃ ১ • শ্লোক। যখন কালৰশে এই গুণত্রয়ের সাম্যাবস্থা সংঘটিত হয়, তথন তাহাকে প্রলয় বা অব্য কাবস্থা বলে । এই সাম্যাবস্থার বিকৃতি ঘটিলে প্রকৃতি বাক্তাবস্থা প্রাপ্ত হইয় স্থষ্টির অভিমুখী হয় । স্বষ্টির মুখে প্রকৃতি স্তরে স্তরে স্বক্ষ হইতে স্থলে পরিণত হইয়া জগত্রয় অম্বুলোম ক্রমে ৰাকৃত হয়। আর প্রলয় কালে জগত্রর স্তরে স্তরে স্থল হইতে স্থক্ষে বিলোম ক্রমে অব্যাকৃত হইতে অৰশেষে অব্যক্ত মূল প্রকৃতিতে উপশাস্ত হয় । প্রকৃতির এই নিয়মানুসারে “ প্রলয় কালে জগত্রর জলময় হইলে ভগৱান প্ৰভু নারায়ণ অনন্ত শয্যায় আশ্রয় পূর্বক যোগ নিদ্র,অবলম্বন করিয়াছিলেন। সেই সময় ভয়ানক মধু কৈটভ নামক অসুৱৰয় বিষ্ণুর বাম কর্ণ মূল হইতে প্রাদুর্ভূত হইয়া ব্ৰহ্মাকে নিহত করার নিমিত্ত উদাত্ত হইলে স্তুতি সমর্থ প্রজাপতি ব্ৰহ্মা বিষ্ণুর নাক্তি সরোজে অবস্থিতি করতঃ ক্ৰোধোন্মত্ত অজয়দ্বয়কে দেখিয়া এবং ভগবানকে প্রন্থপ্ত