छूमिका । - ኋጭ দ্বগুজ্য আৰ্য্যপথ নিজ পরিজন । স্বজনে করয়ে কর তাড়ন তৎসন। সৰ্ব্বত্যাগ করি করে কৃষ্ণের ভজন । কৃষ্ণমুখ হেতু করে প্রেমের সেবন । ইহারে কহিয়ে কৃষ্ণে দৃঢ় অনুরাগ । শুভ্ৰ ধৌত বস্ত্রে যৈছে নাহি কোন দাগ।” এই প্রেম য়াধিকাকে— fসব সমপিয়া একমন হৈয়া নিশ্চয় হইলাম দাসী”--৭৩৯ পদ ইহাই ভাবাইয়া দেয়। এই প্রেম করিতে হইলে পার্থিব ভাবের সীমা ছাড়াইয় উঠতে হইবে ;–
- ধরম কয়ম লোকpরচাতে এ কথা বুঝিতে নারে।
এ তিন আঁখির বাহার মরমে সেই সে বুঝিতে পারে ॥”—৩৩৫ পদ এই প্রেমে মঞ্জিলে বাইজান থাকে না। পার্থিব কোন পদার্থের অস্তিত্ব অত্বভূত হয় না। রাধিক সকল ভুলিয়৷ শ্ৰীকৃষ্ণে আত্মসমর্পণ করেন। তিনি অহৰ্নিশি শ্ৰীকৃষ্ণ ভিন্ন অপর কিছু দেখেন না, অপর কিছুই তাহার মনে উদয় হয় না। এরূপ ভক্ত ভগবানের কাছে কিছুই প্রার্থনা করেন না, কেবল দুইটি কমল-চরণ র্তাহার প্রার্থনীয়। ইহাই প্রকৃত প্রেম ; চণ্ডীদাল এই প্রেমই বৰ্ণনা করিয়াছেন। o শ্ৰীমতী রাধিক । বৃকভানুপুরে পিতৃগৃহে আময় শ্ৰীমতী রাধিকার প্রথম সাক্ষাৎ পাই। রাধিক মাত ও সখী সহ বাতায়নে উপবিষ্ট, নীচে সুবল সদলে নানা খেল খেলিতেছেন। দেখিলাম, মুবল যখন শ্ৰীকৃষ্ণমূৰ্ত্তি দেখাইলেন, তখন সেই অনুপম মূৰ্ত্তি দেখিয়া রাধিকার মূছ1 হইল। কিছুতেই সে মুছার অপনোদন হয় না, পিতা কত চেষ্টা করিলেন, চিকিৎসকে কত চেষ্টা করিল। কিন্তু সুবল মখন রাধিকার কর্ণে কৃষ্ণনামামৃত সেচন করিলেন, তখন তিনি নয়ন উন্মীলন করিলেন। র্তাহার সকল ব্যাধি দূরে গেল, তিনি প্রকৃতিস্থা হইলেন। শ্রীকৃষ্ণেয় রূপদৰ্শনে তাহার যে সম্মোহ হইয়াছিল, কৃষ্ণনামের অদ্ভুত শক্তিতে তাহা তিরোহিত হইল। চণ্ডীদাস এইরূপে কৃষ্ণনামের শক্তি প্রদর্শন করিয়াছেন। তাহার পরামর প্রেমবিহ্বল রাধিকার অবস্থা দেখিয়া বিমোহিত হই। তিনি কখন বা."ণ্ডে শতবার" ঘরের বাহির হইতেছেন। মন সৰ্ব্বদাই উৰিং, ঘন ঘন কদম্ব-কানন পানে চাহিতেছেন। তাহার অঙ্গের বৃগণ শিথিল হইয়া পড়িতেছে, তাহ সম্বরণ করিতে ভুলিয়া যাইতেছেন, চিকুররাশি এলাইয়া পড়িতেছে, তাহাও সংযত করতেছেন মা। ঘন ঘন নিশ্বাস বহিতেছে। আবার কখন বা করতলে কপোল বিন্যস্ত করিয়া মহাষোগিনীর গল্প তাবিতেছেন। লোকেয় সঙ্গ ভাল লাগিতেছে না ; বিরলে বসিয়া অশ্রুপাত করিতেছেন। নীল নিচোল ত্যাগ করিয়া,“রাঙ্গ বাল" পরিধান করিয়াছেন। আহায় ত্যাগ 778 শরীর কৃশ হইয়াছে। কখন মেঘ গানে,