বলিয়াছিলেন, “তোমরা বুঝিবে না।” তারা যে নাস্তিকতাচর্চারও অযোগ্য এই কথায় নাস্তিকতা এবং শচীশের বিরুদ্ধে তাহাদের ক্ষোভ কেবল বাড়িয়া উঠিতেছিল।
২
মত এবং আচরণ সম্বন্ধে শচীশের জীবনে নিন্দার কারণ যাহা যাহা আছে তাহা সংগ্রহ করিয়া আমি লিখিলাম। ইহার কিছু আমার সঙ্গে তার পরিচয়ের পূর্বেকার অংশ, কিছু অংশ পারের।
জগমোহন শচীশের জ্যাঠা। তিনি তখনকার কালের নামজাদা নাস্তিক। তিনি ঈশ্বরে অবিশ্বাস করিতেন বলিলে কম বলা হয়, তিনি না-ঈশ্বরে বিশ্বাস করিতেন। যুদ্ধজাহাজের কাপ্তেনের যেমন জাহাজ চালানোর চেয়ে জাহাজ ডোবানোই বড়ো ব্যাবসা, তেমনি যেখানে সুবিধা সেইখানেই আস্তিক্যধর্মকে ডুবাইয়া দেওয়াই জগমোহনের ধর্ম ছিল। ঈশ্বর-বিশ্বাসীর সঙ্গে তিনি এই পদ্ধতিতে তর্ক করিতেন—
“ঈশ্বর যদি থাকেন তবে আমার বুদ্ধি তাঁরই দেওয়া;
সেই বুদ্ধি বলিতেছে যে, ঈশ্বর নাই;
অতএব ঈশ্বর বলিতেছেন যে, ঈশ্বর নাই;
অথচ, তোমরা তাঁর মুখের উপর জবাব দিয়া বলিতেছ যে,
ঈশ্বর আছেন। এই পাপের শাস্তিস্বরূপে তেত্রিশ কোটি দেবতা তোমাদের দুই কান ধরিয়া জরিমানা আদায় করিতেছে।”
বালক-বয়সে জগমোহনের বিবাহ হইয়াছিল। যৌবনকালে