চিলটা মাটিতে পড়িয়া গিয়াছিল; সেখানে কাকের দলের হাত হইতে দামিনী তাহাকে উদ্ধার করিয়া আনে; তার পর হইতে শুশ্রূষা চলিতেছে।
এই তো গেল চিল। আবার দামিনী একটা কুকুরের বাচ্ছা জোটাইয়াছে, তার রূপও যেমন কৌলীন্যও তেমনি। সে একটা মূর্তিমান রসভঙ্গ। করতালের একটু আওয়াজ পাইবামাত্র সে আকাশের দিকে মুখ তুলিয়া বিধাতার কাছে আর্তস্বরে নালিশ করিতে থাকে; সে নালিশ বিধাতা শশানেন না বলিয়াই রক্ষা, কিন্তু যারা শশানে তাদের ধৈর্য থাকে না।
একদিন যখন ছাদের কোণে একটা ভাঙা হাঁড়িতে দামিনী ফুলগাছের চর্চা করিতেছে এমন সময় শচীশ তাকে গিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “আজকাল তুমি ওখানে যাওয়া একেবারে ছাড়িয়া দিয়াছ কেন।”
“কোন্খানে।”
“গুরুজির কাছে।”
“কেন, আমাকে তোমাদের কিসের প্রয়োজন।”
“প্রয়োজন আমাদের কিছু নাই, কিন্তু তোমার তো প্রয়োজন আছে।”
দামিনী জ্বলিয়া উঠিয়া বলিল, “কিছু না, কিছু না।”
শচীশ স্তম্ভিত হইয়া তার মুখের দিকে চাহিয়া রহিল। কিছুক্ষণ পরে বলিল, “দেখো, তোমার মন অশান্ত হইয়াছে, যদি শান্তি পাইতে চাও তবে—”
“তোমরা আমাকে শাস্তি দিবে? দিনরাত্রি মনের মধ্যে