পাতা:চতুষ্কোণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& দিদিতে পরিণত হইয়া গিয়াছে। তার এ ধরনের প্রস্তাবে না-ই বা বলা যায় কেমন করিয়া ? সেই হইতে মনোরমা ভাড়ার বদলে রাজকুমারকে চার বেলা খাইতে দেয়, তার ঘরখানা গুছানো ছাড়া দরকারী অন্য সব কাজও করিয়া দেয়। রাজকুমার তার ঘর গুছাইতে দিলে যে মনোরমা নিজেই হোক বা তার ননদকে দিয়াই হোক এ কাজটা করিয়া দিত, তাতেও কোন সন্দেহ নাই । রাজকুমার বাহিরে যাইতেছে টের পাইয়া মনোরমা ডাকিল কে যায় ? রাজু? একবারটি শুনে যাবে রাজু ভাই, শুধু একটিবার ? দিনের মধ্যে রাজকুমারকে সে অন্ততঃ আট দশ বার ডাকে, কিন্তু প্ৰত্যেকবার তার ডাক শুনিয়া মনে হয়, এই তার প্রথম এবং শেষ আহবান, আর কখনো ডাক দিয়া সে রাজকুমারকে বিরক্ত করিবে: না । দক্ষিণের বড় লম্বাটে ঘরখানার মেঝেতে বসিয়া মনোরম সেলাই করিতেছিল। এ ঘরে আসবাব খুব কম। খাট, ড্রেসিং টেবিল আর ছোট একটি আলমারি ছাড়া আর যা আছে সে সবের জন্য বেশী জায়গা দিতে হয় নাই। পরিষ্কার লাল মেঝেতে গরমের সময় আরামে গড়াগড়ি দেওয়া চলে । -এত শীগগিরি যােচ্ছ কেন রাজু ভাই ? -সেখানে যাচ্ছি না । -কোথায় যাচ্ছি। তবে ? -একটা ফোন করে আসব। -ও, ফোন করবে। পাঁচটার সময় ওখানে যেও, তা হলেই হবে। কালী সেজোগুজে ঠিকঠাক হয়ে থাকবে, বলে দিয়েছি। -আজি যেতে পারব না দিদি । মনোরমা হাসিমুখে বলিল, পারবে না ? একটা কাজের ভার নিয়ে শেষকালে ফ্যাসাদ বাধানোর স্বভাব কি তোমার যাবে না, রাজু