পাতা:চতুষ্কোণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

0. চতুষ্কোণ জিজ্ঞাসা করে অনেক বুদ্ধি খাটানো খানিকটা ভূমিকার পর। সে আর কালী ছাড়া রান্নাঘরে কেউ নাই, তবু হাত ধুইতে ধুইতে কালীকে সে শোয়ার ঘরে যাইতে বলে,- একটা কথা আছে। একটু দেরি করিয়া নিজে ঘরে যায়, দরজা সযত্বে ভেজাইয়া দেয় । তারপর সামনে দাড়াইয়া হাসিমুখে সুখবর প্রত্যাশা করার মত ব্যগ্ৰভাবে প্রশ্নটা করে। যদি কিছু ঘটিয়া থাকে কালীর মত বোকা মেয়েরও বুঝিতে বাকী থাকিবে না কোন বিষয়ে তার জানিবার আগ্রহ। মুখে কিছু না বলুক, কালীর মুখ দেখিয়াই সে সব বুঝিতে পারিবে। কিন্তু হায়, কালীর মুখে বিস্ময় ছাড়া আর কোন ভাব ফোটে না। -কিসের দিদি ? হতাশ ক্ৰোধে মনোরমা বলে, কচি খুকী তুমি, কিছু জান না। রাজু তোকে কিছু বলেনি ? কিছু করে নি ? -नों (उों ? -না তো ? বড় গর্বের কথা তোর, না ? যা চেহারা, যা স্বভাব, কে তোকে পছন্দ করবে ! রাজকুমার আজকাল সকলেব আয়ত্তেব বাহিবে চলিয়া গিয়াছে। চেষ্টা না করিয়া কেউ আজকাল রাজকুমারকে কাছে পায় না। কাছে মানে পাশে বা সামনে নয়। সে ভাবে কারো কাছ হইতে রাজকুমার নিজেকে দূরে সরাইয়া নেয় নাই। দেখা সাক্ষাৎ সকলের সঙ্গে যেমন চলিতেছিল প্রায় সেই রকমই বজায আছে। যাদের সঙ্গে শুধু বাহিরের পরিচয় তারা বরং এমন কথাও ভাবে যে আরেকবারের আলাপে। মানুষটার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাই বুঝি খানিকটা বাডিয়া গেল। কিন্তু যাদের সঙ্গে তার পরিচয় ভূমিকা পার হইয়া জীবনের আনুষঙ্গিক দৃশ্যপট জানাজানিতে অন্ততঃ পৌছিয়াছে, যারা উচ্চারণ করার আগেই তার দু’চারটি মনের কথা এতকালে টের পাইয়া আসিয়াছে, চেষ্টা না করিলে তারাও আর তার মনের নাগাল পায় না, ব্যক্তিগত খুটিনাটি