পাতা:চতুষ্কোণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

yo চতুষ্কোশ করায় ? ক'দিন মালতী যন্ত্রণা ভোগ করিয়াছে দারুণ কিন্তু সে যেন কেমন এক ধরনের যন্ত্রণা, উদভ্ৰান্ত উত্তেজনা আর আত্মহারা অবসাদের বেদনাহীন পীড়ন, গা পোড়ানো জ্বরে হাড় কঁপানো শীতের মত। আজ শ্যামল আসিবে । কাল মালতী নিজে তাকে আসিতে বলিয়াছে। শ্যামলের সঙ্গে তার সিনেমায় যাওয়ার কথা আছে। বাহিরে যাওয়ার জন্য তৈরি হওয়ার কথা সে ভাবিতেছে, হঠাৎ তার মনে হইল, এভাবে চলিতে পারে না, এভাবে রাজকুমারকে দূরে সরিয়া যাইতে দেওয়া অন্যায়,-তারও অন্যায়, রাজকুমারেরও অন্যায়। চুপ করিয়া ঘরে বসিয়া শুধু উতলা হইলে তার চলিবে না। আজ রাজকুমারকে তার কাছে পাওয়া চাই। শ্যামল যখন আসিল, রাজকুমারের সঙ্গে ফোনে কথা বলিয়া মালতী সবে রিসিভারটা নামাইয়া রাখিয়াছে। উৎসাহে শ্যামল অস্থির হইয়া পড়িয়াছিল! -শীগগির তৈরি হয়ে তাও মালতী, দেরি হয়ে গেছে। -उांभि शांत ना । -কেন ? লক্ষ্মী চলে । প্লীজ ! --কি আশ্চৰ্য, বলছি তোমার সঙ্গে যাব না, রাজুদার সঙ্গে আমার দরকার আছে, জোর করে নিয়ে যাবে তুমি আমায় ? - জোর করে ? —যাব না-তোমার সঙ্গে কোথাও যাব না কোনদিন । কেন তুমি আমায় জ্বালাতন করা ? — আমি তো কিছুই করিনি মালতী ? -করনি ? দিন রাত পেছনে লেগে আছ তুমি আমার, কিছু করনি ? এই যে তাকিয়ে আছ অমন করে, এটা কিছু করা নয়, এই যে তর্ক করছ, এটাও কিছু করা নয়-তুমি কিছুই কর না, বড় ভাল ছেলে তুমি ! যেতে বলছি, চলে যাও না ? তোমার কি মান অপমান জ্ঞান নেই ? এত অপমান করি, কিছুতেই তোমার অপমান হয় না ?