পাতা:চতুষ্কোণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS চতুষ্কোশ -আর কিছু বলতে হবে না। মালতী। আমি যাচ্ছি। -শোন। তোমাকে কয়েকটা কথা বুঝিয়ে বলা দরকার। আজ আমার সময় নেই, ক্ষমতাও নেই। কাল সন্ধ্যার পর একবার lar —আমাকে আর কিছু বুঝিয়ে বলতে হবে না, মালতী। -হবে। সব কথায় কথা বাড়াও কেন ? কাল এসে । --না এলে তুমি দুঃখিত হবে ? -শ্যামল ! ফের যদি তুমি আমার সঙ্গে এমনি কর কোনদিন তোমার সঙ্গে কথা কইব না । তারপর শ্যামল চলিয়া গেলে এমন শ্ৰান্ত, উদভ্ৰান্ত আর অসহায় মনে হইয়াছিল নিজেকে, আধা ঘণ্টা মালতী চােখ বুজিয়া বিছানায় পড়িয়াছিল। এখন আবার রাজকুমারের সঙ্গে বুঝাপড়া বাকী আছে। শেষ বুঝাপড়া, বুঝাপড়া সে আজ করিবে রাজকুমারের সঙ্গে । কি আছে, কিছুই সে জানে না। কিন্তু আর তার সহ্যু হয় না। এই অনির্দিষ্ট অসহ্যু হওয়ার প্রতিকার চাই। এভাবে আর চলে না, চলিতে পারে না । হয় রাজকুমার তাকে লইয়া যাক সমুদ্রতীরের কোন বন্দরে, পাহাড়ের মাথায় কোন শহরে, মাঠের ধারে ? কোন গ্রামে, সেখানে সন্ধ্যা হইতে তাকে বুকে তুলিয়া এত জোরে পিষিতে থাকি যেন শেষ রাত্রে তার দম আটকাইয়া যায়, নয়তো তাকেই অনুরোধ করুক জোরে তার গলা জড়াইয়া ধরিতে যাতে আর রাজকুমার নিঃশ্বাস নিতে না পারে। তার দুৰ্বোধ্য অর্থহীন যন্ত্রণার মত এই রকম খাপছাড়া ভয়ানক কিছু ঘটুক । রাজকুমার প্রতীক্ষা করিয়া আছে, সে যাচিয়া দেখা করিতে চাহিয়াছে বলিয়া রাজকুমার তার জন্য রাস্তার ধারে একটা বিলাতী। দোকানের লাল বাড়ির সামনে গাড়ি বারান্দার নীচে ফুটপাতে দাড়াইয়া তার প্রতীক্ষা করিতেছে, ক্রমাগত এই কথাটা মনে পড়িতে পড়িতে মালতীর মস্তিকে উদভ্ৰান্ত চিন্তার, পাক-খাওয়া কমিয়া আসিল । জীবনে