পাতা:চতুষ্কোণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

yy চতুষ্কোশ যেন সবুজ রঙে গম্ভীর হইয়া আছে। ড্রেসিং টেবিলে প্রসাধনের আয়োজনের অভাব মালতীর অসম্পূর্ণতার অনুভূতিকে জোরালো করিয়া তোলে। আয়নায় যে মালতীকে দেখা যায়। তাকে মালতীর মনে হয় অন্য একটি মেয়ে। শেষ দুহুর্তে রাজকুমার মালতীকে এক রাখিয়া স্যার কে. এল.-এর সঙ্গে দেখা করিতে যাওয়ার ব্যবস্থাটা বাতিল করিয়া দিতে চাহিয়াছিল, মালতী রাজী হয় নাই । --না, সব হাঙ্গামা চুকিয়ে দিয়ে এসো। আমার সঙ্গে কথা DDBS DBDDBS DD DB SDDD SBBD D SD SDDT BB পাঠিয়েছেন, আমার তা সইবে না। —তা ভাবিব না। মালতী ! ওটুকু মনের জোর আমার আছে। --মনের জোরের কথা নয় । রাজকুমার চলিয়া যাওয়ার পর আধা ঘণ্টার মধ্যে মালতী অস্থির হইয়া উঠিল । সময় যে এত শ্লথ, শুইয়া বসিয়া ঘরের মধ্যে পাক দিয়া আর ক্রমাগত কজিতে বাধা ঘড়িটির দিকে চাহিয়া সময়কে যে কিছুতেই তাড়াতাড়ি পিছনে ঠেলিয়া দেওয়া যায় না, আজ যেন সে তা জানিতে পারিল প্ৰথম । অথচ মনে মনে সে কামনা করিতে লাগিল রাজকুমারের ফিরিতে যেন দেরি হয়। অনেক দেরি হয়। ফিরিয়া আসিতে রাজকুমারের সত্যই দেরি হইয়া গেল। স্যার কে. এল.-এর আফিস বেশী দূরে নয়, ট্যাক্সিতে পৌছিতে রাজকুমারের পােচ সাত মিনিটের বেশী সময় লাগিল না । আপিসের লোকজন অধিকাংশই চলিয়া গিয়াছে, কেবল তিনজন কেরানী তখনো ঘাড় গুজিয়া কাজ করিতেছে। নিজের ঘরে স্যার কে. এল. পাইপ কামড়াইয়া খোলা জানালার কাছে দাড়াইয়াছিলেন আর ঘরের কোণে টাইপরাইটের সামনে চুপচাপ বসিয়াছিল। ক্রুদ্ধ ও বিরক্ত একটি ফিরিঙ্গি মেয়ে। বয়স তার রিনির চেয়ে হয় তো বেশী নয়, কিন্তু মুখে অনেক বেশী বয়সের ছাপ ।