পাতা:চতুষ্কোণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Að চতুষ্কোশ -রিনি। আমার মেয়ে রাজু। আমার আর ছেলে-মেয়ে নেই! -এ কথাটা কেন বললেন বুঝতে পারছি না। স্যার কে. এল. পাইপটা মুখে তুলিয়া কামড়াইয়া ধরিলেন, তারপর আবার নামাইয়া রাখিলেন । —তুমি সব অস্বীকার করতে চাও ? --না, অস্বীকার করতে চাই না । রিনির সঙ্গে অভদ্রতা করেছি, কিন্তু আমার উদ্দেশ্য খারাপ ছিল না । আমার কি উদ্দেশ্য ছিল বলে লাভ নেই। আপনি বুঝতেও পারবেন না, বিশ্বাসও করবেন না। —অভদ্রতা ! কি বলছি তুমি ? রাজকুমার কিছুই বলিল না। রিনির সঙ্গে তার ব্যবহারের সংজ্ঞা লইয়া কি স্যার কে. এল. তর্ক করিতে চান ? বলিতে চান। ওটা অভদ্রতার চেয়ে আরও খারাপ কিছু। —ফঁাসির ভয় না থাকলে তোমায় আমি খুন করতাম রাজু। তুমি রিনির যা ক্ষতি করেছ সে জন্য নয়, তোমার এই মনোভাবের জন্য । রিনির কাছে সব শুনেও তোমায় আমি একা দোষী করিনি । রিনি ছেলেমানুষ নয়, তারও উচিত ছিল নিজেকে বঁচিয়ে চলা । দু'দিন ধরে আমি ক্রমাগত নিজেকে কি বুঝিয়েছি জানো ? কেবল তুমি আর রিনি নও, আরও অনেক ছেলে-মেয়ে এ রকম ভুল করেছে, রিনি। আমার মেয়ে বলেই আমার মাথা খারাপ করলে চলবে না, ভুল করলে চলবে না। রিনিকে তুমি বিয়ে করবে কি না, না করলে কেন করবে না, খোলাখুলি ভাবে এই কথাগুলি জিজ্ঞেস করব বলে তোমাকে ডেকে পাঠিয়েছিলাম । কিন্তু এক বছর একটি মেয়ের সঙ্গে খেলা করা যখন তোমার কাছে শুধু অভদ্রতা, তোমাকে আর কিছু জিজ্ঞেস করতে চাই না। তোমাকে বলা বৃথা, তবু বলছি, যদি পাের সুইসাইড কোরো । তোমার মত মন নিয়ে কারো বেঁচে থাকা উচিত নয়। আচ্ছা, এবার তুমি যাও রাজু। কথা বলিতে রাজকুমারের সাহস হইতেছিল না। রিনি। সব