পাতা:চতুষ্কোণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুক্ষোণ öፍህ” --ত নয়। ঠিক তা নয়। আমি ভেবেছিলাম, আমাকে তা হলে তুমি বাধ্য হয়ে বিয়ে করবে। -কেন ? নাও তো করতে পারতাম । তামাশা করছি ? এই কি তোমার তামাশার সময় হল ? আমার এদিকে মাথা ঘুরছে, কি ভাবছি কি বলছি বুঝতে পারছি না-রাগ করেছ নাকি ? তুমি নিশ্চয় রাগ করেছ। তাই এমনি ভাবে ছাড়া ছাড়া কথা বলছি।-রাগ হয়েছে তোমার। উৎকষ্ঠিত দৃষ্টিতে রাজকুমারের মুখের দিকে চাহিয়া তার রাগের চিহ্ন খুজিতে খুজিতে মালতী একেবারে উঠিয়া বসে । --রাগ করেছ কেন ? তুমি তো জানো তুমি যা চাইবে তাই হবে, আমি কথাটি বলব না । সত্যি বলছি, বিয়ের কথা আর মনেও আনব না। এতক্ষণ তাই ভাবছিলাম। একলাটি ঘরে বসে। তুমি যখন ওসব অনুষ্ঠান পছন্দ কর না, আমার কােজ নেই বাবা বিয়ে ফিয়েতে। কিন্তু, মালতীর গলায় করুণ মিনতির সুর ফুটিয়া উঠিল, আমার একটা কথা তোমায় রাখতে হবে । বলো রাখবো ? -কি কথা মালতী ? এক রাত্রির জন্য রুম নিয়ে নয়, চলে আমার কোথাও চলে যাই দু'জনে, মাস তিনেকের জন্যে । অন্ততঃ দু'মাস। কিছুদিন এক সঙ্গে এক বাড়িতেই যদি না রইলাম আজ রাত্রিকে বাতিল করার সমর্থনে এই জোরাল যুক্তি মালতী আবিষ্কার করিয়াছে । আরম্ভ হওয়ার আগেই কাব্য প্ৰেম স্বপ্ন আর কল্পনা শুধু মনের উদ্বেগ আর দেহের অস্থিরতায় যে পরিণত হইয়া গেল তার তো একটা কারণ থাকা চাই ? সে কারণটি এই। একটি বিচ্ছিন্ন রাত্রির অসম্পূর্ণ ভাঙ্গা প্রেম তার ভাল লাগিবে না। কাল সকালে ছেদ পড়িবে ভাবিয়া মিলনকে সে গ্ৰহণ করিতে পারিতেছে না, শুধু এই কারণে দেহ,মন তার বিরোধী হইয়া উঠিয়াছে। রাজকুমারকে সে ভালবাসে বৈকি ?