পাতা:চতুষ্কোণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুষ্কোখ 980 -कुछछडi bांशैमि ब्रांयू । --তুমি না চাও, আমার তো স্বাভাবিক নিয়মে কৃতজ্ঞতা রোধ করা উচিত ছিল ? ওটা যেন আমার প্রাপ্য বলে ধরে নিয়েছি। তাহলেই দ্যাখো, তুমি যে আমার কাছে এসেছ, সেটা শুধু বিনা বিচারে অসীম ধৈৰ্যের সঙ্গে আমাকে তোমার গ্ৰহণ করার চেষ্টার পথে, অন্তরঙ্গতার পথে নয়। অন্য কেউ হলে আপনা থেকে তোমাকে বুঝবার চেষ্টা করত, পরস্পরের জানাবোঝার চেষ্টায় সৃষ্টি হত সুন্দর স্বাভাবিক বন্ধুত্ব। আমার সেটা কোনদিন খেয়াল পর্যন্ত হয় নি। --তুমি আমায় কখনো উপেক্ষা করনি রাজু। -কেন করব ? আয়নাকে কেউ উপেক্ষা করে না । সরসী নতমুখে নিজের আঙ্গুলের খেলা দেখিতে থাকে। আঁচলের প্ৰান্ত নয়, কোলের কাছে জড়ো করা কাপড়ের খানিকটা পাকাইয়া কখন সে যেন আঙ্গুলে জড়াইতে আরম্ভ করিয়াছে। --রাগ করলে সরসী ? স্পষ্ট করে করে বললাম বলে ? সরসী মুখ তুলিয়া একটু হাসিল ।-রাগ করেছিলাম। তুমি জিজ্ঞেস করলে বলে আর রাগ নেই। রাগ করি আর নাই করি তুমি স্পষ্ট করেই বলো-যন্ত স্পষ্ট করে পার । রাজকুমার বলে,- তোমার কথা আর বলব না। এবার মালতীর কথা বলি। মালতীর সঙ্গে আমার কি সম্পর্ক দাড়িয়েছে জানো ? শ্রদ্ধাকে ভালবাসা মনে করার সম্পর্ক । সোজাসুজি ভালবাসলে হয়তো ওকে কাছে আসতে দিতাম না, ভুলেই থাকতাম মালতী বলে একটা মেয়ে এ জগতে আছে। কিন্তু ভিত্তিটা যখন ভুলের, দু'দিন পরে ভুল ভেঙ্গে যাবে যখন জানি, জটিল একটা সম্পর্ক সৃষ্টি হতে দিতে আমার বঁাকা মনের আপত্তি হবে কেন ? তারপর ধর রিনি সরসী চেয়ারের পিছনে হেলান দিয়াছিল, সোজা হইয়া বসে। বুঝা যায় মালতীর চেয়ে রিনির কথা শুনতেই তার আগ্ৰহ বেশী । রিনি। যতদিন সুস্থ ছিল, আমার সঙ্গে বনত না । আমি কাছে W