পাতা:চতুষ্কোণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

9 চতুষ্কোণ। বঁকাইয়া তীক্ষ দৃষ্টিতে রাজকুমারের মুখের দিকে চাহিয়া তীব্ৰ ভৎসনার সুরে বলিল, ছোড়া মানে ? ছোড়া বলছি কাকে শুনি ? রাজকুমার থতিমত খাইয়া গেল।-আহা এমনি বলেছি, আদর করে বলেছি মনোরমার রাগ ঠাণ্ড হইল না। --বেশ আদর তো তোমার ! আমার ছেলেকে যদি আদর করে ছোড়া বলতে পার, আমাকেও তো তবে তুমি. আদর করে যা-তা বলতে পার অনায়াসে। এ আবার কোন দেশী আদর করা, এমন কুচ্ছিত গাল দিয়ে! --ছোড়া কথাটা তো গাল নয় দিদি ! -নয় ? ছোড়া কাদের বলে শুনি ? যারা নেংটি পরে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়, পকেট মারে, মদ-গাঁজা ভাং খায়, মেয়েদের দেখলে শিসূ দেয়, বিচ্ছিরি সব ব্যারামে ভোগে -আমি জানি না 6छtदछ ! অনেক প্ৰতিবাদেও কোনও ফল হইল না, আহত অভিমানিনী মনোরমার মুখের মেঘ স্থায়ী হইয়া রহিল। নিজেই অবশ্য সে কথাটা চাপা দিয়া দিল, বলিল যে যাক গে, থাক, ওকথা বলে আর হবে কি, আচ্ছা, আচ্ছা, তোমার কথাই রইল রাজু ভাই, তুমি কিছু ভেবে কথাটা বলোনি,-কিন্তু বেশ বুঝা যাইতে লাগিল, মনে মনে সে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হইয়া আছে। --ফোন করেছ ? --না, এইবার যাব । --ফোন করতেই না গেলে ? --না, গিরিদের বাড়ি গিয়েছিলাম। ফোন করার কথাটা মনে छिव्ग क्रा । ki, খেয়াল-খুশীর বাধা অপসারিত হওয়ার একটু পরেই খোকা আবার, ঘুমাইয়া পড়িয়াছিল। গভীর মুখে অকারণে খোকার মুখে একটা চুমা খাইয়া মনোরম বলিল, গিরিদের বাড়ি কেন ?