পাতা:চতুষ্কোণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুষ্কোশ গলা নামাইয়া ফিসফিস করিয়া বলিল,-সিড়িতে দাড়িয়ে অতক্ষণ কি ভাবছিলেন। তাই বলুন। বলুন না, কাউকে বলব না। আমি, আপনার গা ছুয়ে প্ৰতিজ্ঞা করছি। মালতী কখনো তাকে স্যার বলে না। রাজকুমার তাকে পড়ায় বটে। রোজ, কিন্তু ঠিক গুরু-শিষ্যার সম্পর্ক তাদের নয়। তার কথা বলার ভঙ্গী রাজকুমারকে আরও বেশী বিব্রত করিয়া তুলিল। রিনির সঙ্গে সত্যসত্যই কিছু না ঘটিয়া থাকিলে হয়তো সে রাগ করিতে পারিত, যদিও মালতীর উপর রাগ করা বড় কঠিন। মালতী তামাশা করে, সব সময়ে সব বিষয়ে এরকম হাল্কা পরিহাসের ভঙ্গীতেই কথা বলে, কিন্তু কখনো খোচায় না। পরিচিত সকলেই যেন তার কাছে নতুন জামাই আর সে তার মুখরা শ্যালিকা। মনে যদি কারও খোঁচা লাগে তার কথায়, সেটা তার মনের দোষ, মালতীর নয়। হঠাৎ রাজকুমারের একটা কথা মনে পড়িয়া গেল।--কি দরকারে এসেছি, দেখবে ? বলিয়া ঘরের একপাশে টেলিফোনের কাছে আগাইয়া গিয়া রিসিভারটা তুলিয়া নিল। কাল সে কাজে যাইতে পরিবে না। রাজেনকে এই খবরটা দিয়া আরও কতগুলি আজে বাজে কথা বলিয়া রিসিভারটা নামাইয়া রাখিল । -দেখলে ? মালতী এতক্ষণ তার দুষ্টামির হাসি মুখে ফুটাইয়া রাখিয়াছিল, চার পাঁচবার মাথা হেলাইয়া সায় দিয়া বলিল, দেখলাম বৈকি, নিশ্চয় দেখলাম। অমন কত দেখছি রোজ ! শ্যামল করে কি জানেন, যখন তখন আমাদের বাড়িতে এসে হাজির হয়। আর আমাকে ডেকে বলে,- একটা ফোন করব। অন্য সবাই রয়েছে বাড়িতে, তাছাড়া ফোন করার জন্য কারও অনুমতি চাওয়ারও ওরা দরকার নেই, কিন্তু আমাকে ডেকে ওর বলা চাই। আমি বলি, বেশ তো, ফোন করুন। তারপর একথা সেকথা বলতে বলতে গল্প জমে যায়, বেচারীর দরকারী ফোনটা আর द्र श न ।