পাতা:চতুষ্কোণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

39ፃ চতুষ্কোণ রাজকুমার ব্যস্ত হইয়া বলিল, তা পেরেছেন বৈকি, অনেকেই 6°८.३८ ।। রুক্মিণী খুশী হইয়া বলিল, থ্যাঙ্কস্ । তাই বটে। একজন মাদ্রাজী মেয়েও যদি চরম-কালচারী বাঙালী মেয়েদের সমান না হইতে পারিয়া থাকে, রুক্মিণী তবে দাড়ায় কোথায় ? রাজকুমার মনে মনে ভাবিল, রুক্মিণী মেয়েটি বেশ । সকলের আগে স্যার কে. এল. বিদায় নিলেন । তার অম্বলের অসুখ, লাইট রিফ্রেশমেণ্টও সহ্য হইবে না । তা ছাড়া, এই সব ছেলেমানুষদের সভায় যদি বা এতক্ষণ থাকা গিয়াছিল, সভা এখন বৈঠকে পরিণত হইয়াছে, এখন আর থাকা চলে না । তঁর কাজও उाCछ । রাজকুমার বলিল, চলুন আমিও আপনার সঙ্গে যাই। পথে স্যার কে. এল. আপন মনেই নিঃশব্দে হাসিতে লাগিলেন, উপভোগ্য একটা রসিকতার রস যেন মন হইতে র্তার কিছুতেই মিলাইয়া যাইতেছে না । -অনেকদিন আগে এমনি একটা আসরে উপস্থিত ছিলাম রাজু। विक्लाउ । -এমনি আসর ? -অবিকল এই রকম। ইয়ং বয়েজ অ্যাণ্ড গার্লস। আমার মতই একজন আধাবুড়োকে প্রেসিডেণ্ট করেছিল। একটা ব্যাপার লক্ষ্য করেছ রাজু? অল্প বয়সী ছেলেমেয়ের সভা করে। কিন্তু প্রেসিডেণ্ট করে বুড়োকে ? কম বয়সী কাউকে প্রেসিডেণ্ট করতে বোধ হয় তাদের হিংসা হয়। কিম্বা হয়তো প্রেসিডেণ্ট বলতেই এমন একটা গম্ভীর জবরদস্ত মানুষ বোঝায় যে বুড়ো ছাড়া প্রেসিডেন্টের আসনে কাউকে বসাবার কথা তারা ভাবতেও পারে না । রাজকুমার হাসিল,-বৰ্ণনাটা কিন্তু আপনার সঙ্গে ঠিক খাপ थांश न् ।