পাতা:চতুষ্কোণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8. চতুষ্কোণ भांलऊँी दिशा कब्रिल, यडकर दियांन उांद श्छे श्शा पैठे, ততক্ষণ । তারপর বলিল, কাপড় দিয়ে কি করবে, রাস্তায় নামলেই তো কাপড় আবার ভিজে যাবে। একেবারে বাড়ি গিয়ে কাপড় ছাড়ে। বড়ো ছেলেমানুষ তুমি,--সত্যি। একখানা শুকনো কাপড় দিয়া বৃষ্টি ধরা পর্যন্ত অপেক্ষা করিতে না দিয়া ভিজা কাপড়ে তাকে এক রকম তাড়াইয়া দেওয়া হইল। শ্যামল হয় মালতীর কথার মানেই বুঝিতে পারিল না। অথবা বুঝিয়াও বিশ্বাস করিতে পারিল না, এমনি এক অদ্ভুত বিস্ময়ভরা দৃষ্টিতে সে খানিকক্ষণ মালতীর মুখের দিকে চাহিয়া রহিল। তারপর নীরবে বারান্দা পার হইয়া সিড়ি দিয়া নীচে নামিয়া গেল । ঘরে গিয়া টেবিলের দুপাশের দুটি চেয়ারে বসিয়া দু’জনেই চুপ করিয়া রহিল। মালতীর মুখখানি অস্বাভাবিক রকম গম্ভীর হইয়া গিয়াছে। কিছুক্ষণ পরে সে-ই অস্ফুটস্বরে বলিল, শ্যামল সব দেখেছে। —সব ? সব মানে কি ? রাজকুমার আশ্চৰ্য হইয়া গেল । -জানাল দিয়ে দেখছিল ? হঁ্যা তুমি যখন পড়াও, প্রায়ই এসে বারান্দায় কেউ না থাকলে জানালা দিয়ে উকি দেয়। রাজকুমার আরও আশ্চর্য হইয়া গেল। প্ৰাণপণে একটু হাসিবার চেষ্টা করিয়া সে বলিল, তার মানে ? মালতী সায় দিয়া বলিল, হঁ্যা, তাই। এমন ছেলেমানুষ আর দেখিনি। একটু বয়স বাড়লেই এ ভাবটা কেটে যাবে জানি, তবু এমন বিশ্ৰী লাগে মাঝে মাঝে ! এ সব নীরব পূজার ন্যাকামি কোথেকে যে Qafa (ges ! ছেলেরা ! যাদের সঙ্গে কলেজে পড়ে মালতী তারা কচি ছেলের দলে গিয়া পড়িয়াছে, এতই সে বুড়ী ! রাজকুমারের এবার আপনা হইতেই হাসি আসিল । -একখানা শুকনো কাপড় চাইল, তাও দিলে না ?