পাতা:চতুষ্কোণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

kl. छछूकान -কালীকে তোমার কেমন লাগে রাজু ভাই ? মুখের ভাতটা গিলিতে রাজকুমারকে তিনবার চেষ্টা করিতে হইল। -ভালই লাগে । -বড় লাজুক হয়েছে মেয়েটা । কিছুতে তোমার সামনে আসতে চায় না। বড়সড় হয়ে উঠছে, একটু লজ্জা হবে বৈকি। চােদ্দ পেরিয়ে পনরোয় পা দিয়েছে । কালীর বয়সটা রাজকুমার জানিত, তার সাদাসিদে মা’টি রাজকুমারের কাছে বলিয়া ফেলিয়াছিল। কালীর বয়সটা মনোরম একেবারে দু'বছর বাড়াইয়া দিতে চায় কেন প্রথমটা রাজকুমার বুঝিয়া উঠিতে পারিল না । তারপর একটা অবিশ্বাস্য কথা মনে আসায় অবাক হইয়া মনোরমা মুখের দিকে চাহিয়া রহিল। তোমার নামে কালী। কিন্তু আমার কাছে একটা নালিশ করেছে। ब्रांड्यू उांझे ! মনোরমার মুখে কৌতুকের হাসি। চােখ দিয়া তার হাসি দেখিতে দেখিতে কান দিয়া তার কথা শুনিয়া রাজকুমারের যেন কিছুক্ষণের জন্য ধাঁধা লাগিয়া গেল। কালী। তবে নালিশ করিয়াছে ? কালীর নালিশ শুনিয়া মনোরম তাকে অনুযোগ দিতেছে। সকৌতুকে ! তুমি নাকি ওকে মিউজিয়াম দেখাতে নিয়ে যাবে বলেছিলে ? বিকেলে আমায় বলছিল, তুমি নাকি ভারি খারাপ লোক, কথা দিয়ে কথা রাখে না। আমি বললাম, যা না, বলগে না তুই তোর রাজুদা’কে ? তা মেয়ে বলে কি, লজ্জা করে দিদি ! জলের গেলাস তুলিয়া রাজকুমার গেলাসের অর্ধেকটা খালি করিয়া (ब्लिव्न । খাওয়ার পর অন্ধকার ঘরে চেয়ারে বসিয়া রাজকুমার সিগারেট টানিতেছে, দরজার কাছে বিছানো বারান্দার বালবের আলোয় একটি ছায়া আসিয়া পড়িল । ছায়া আর নড়ে না। মনোরমার ছায়া নিশ্চয়