পাতা:চতুষ্কোণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& চতুষ্কোণ নাই, বিফল হওয়ার ভয়ও যেন নাই। কালীর দেহে যৌবনের বিকাশে যেমন এতটুকু ব্যস্ততা দেখা যায় না। অথচ বিকাশ তার অনিবাৰ্য গতিতে ঘটিতেই থাকে, মনোরমার অভিযানও তেমনি ধীর স্থির মন্থর গতিতে গড়িয়া উঠে। খেলার ছলে হৃদস্পন্দন পরীক্ষা করার বিরুদ্ধে কালীর প্ৰতিবাদ যেমন রাজকুমারের অজ্ঞাতসারেই তিলে তিলে হুকুম হইয়া মাথা তুলিতে আরম্ভ করে, তাকে ঘিরিয়া মনোরমার জাল বোনাও তেমনি হইয়া থাকে তার অদৃশ্য। কালীকে মনোরমা কখনো বেশী সাজায় না, তার ঘরোয়া সাধারণ সাজেই বৈচিত্ৰ্য সৃষ্টির চেষ্টা করে। কালীর একরাশি কালো চুল আছে, কোনদিন মনোরমা লম্বা বিনুনী বুলাইয়া দেয়, কোনদিন রচনা করে ফুলানো ফাপানো খোপা। সকালে ঘরের কাজ করার সময় কালীর গায়ে সাদাসিধে ভাবে জড়ানো থাকে নিমন্ত্রণে যাওয়ার জমকালো দামী শাড়ি, বিকালে সযত্ন প্রসাধনের পর তাকে পরিতে হয়। সাধারণ মিলের কাপড় । সকালে কালী কাতর হইয়া বলে, ভাল কাপড়খানা নষ্ট হয়ে যাবে। যে দিদি ? মনোরমা বলে, হোক । আঁচলটা জড় দিকি কোমরে, ঘর দোর বাট দে রাজুর । খাটের তলাটা ব্যাটাস ভাল করে । বিকালে আরও বেশী কাতর হইয়া কালী বলে, এটা নয় দিদি, পায়ে পড়ি তোমার, ওটা পরি এখন, আবার খুলে রাখব। একটু পরে ? মনোরমা বলে, না, অত ফ্যাশন করে কাজে নেই তোমার । গরীবের মেয়ে গরীবের মত থাকো । কাছে টানিয়া আদর করিয়া বলে, বোকা মেয়ে, ছেড়া কাপড়ে তোকে যে বেশী সুন্দর দেখায় রে ! রাজকুমারের কাছে, সে আপসোস করে,-বড় চপল মেয়েটা ब्रांशू, दफु 5श्र्ल । দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া বলে তাও বলি, মেয়ে যেন মানুষের মন