পাতা:চতুষ্কোণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেলা তিনটার সময় রাজকুমার টের পাইল, তার মাথা ধরিয়াছে। এটা নুতন অভিজ্ঞতা নয়, মাঝে মাঝে তার মাথা ধরে। কেন ধরে সে নিজেও জানে না, তার ডাক্তার বন্ধু অজিতও জানে না । তার চোখ ঠিক আছে, দাত ঠিক আছে, ব্লাড প্রেসার ঠিক আছে, হজমশক্তি ঠিক আছে- শরীরের সমস্ত কলকব্জাগুলিই মোটামুটি এতখানি ঠিক আছে যে মাঝে মাঝে মাথা ধরার জন্য তাদের কোনটিকেই দায়ী করা যায়। না, তবু মাঝে মাঝে মাথা ধরে। অজিত অবশ্য এক জোড়া কারণের কথা বলিয়াছে ঃ আলসেমি আর স্বাস্থ্যরক্ষার রীতিনীতিতে অবহেলা । রাজকুমার তার এই ভাসা ভাসা আবিষ্কারে বিশ্বাস করে না । প্ৰথম কারণটা একেবারেই অর্থহীন, সে অলস নয়, তাকে অনেক কাজ করিতে হয়। দ্বিতীয় কারণটা যুক্তিতে টোকে না, স্বাস্থ্যরক্ষার রীতিনীতি না মানিলে স্বাস্থ্য খারাপ হইতে পারে, মাথা ধরিবে কেন ? অজিত খোচা দিয়া বলিয়াছেঃ তোর স্বাস্থ্য খুব ভালো, না ? -অসুখে তো ভুগি না । -भांथों श्रद्धांत्रि --মাথা ধরা অসুখ নয়। --মাথা খারাপ হওয়াটা ? আজ গোড়াতেই মাঝে মাঝে সাধারণ মাথা ধরার সঙ্গে আজকের মাথাধরার তফাতটা রাজকুমার টের পাইয়া গেল। দু’চার মাস অন্তর তার এরকম খাপছাড়া মাথাধরার আবির্ভাব ঘটে। নদীতে জোয়ার আসার মত মাথায় একটা ভোতা দুৰ্বোধ্য যন্ত্রণার সঞ্চার সে স্পষ্ট অনুভব করিতে পারে, তারপর বাড়িতে বাড়িতে পরিপূর্ণ জোয়ারের মত যন্ত্রণাটা মাথার মধ্যে থমথম করিতে থাকে। অনেক রাত্ৰি পৰ্যন্ত