পাতা:চন্দ্রকান্ত.pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*bー # চম্রীকান্ত | গোপী চিত্ররেখার কথোপকথন । ধুয়া । কেমন সে গুণমণি দেখিব নয়নে । অনঙ্গে দহিল অঙ্গ ৰূপের বর্ণনে ॥ ব্যাকুল হয়েছি প্রাণে শুনিয়া শ্রবণে । দেখাও আমারে সেই সাধুর নন্দনে । উষা যেন অনিরুদ্ধে দেখিয়া স্বপন । কামানলে কামিনী হইল জ্বালাতন। চিত্ররেখা আনি দিল কামের নন্দনে । সেই ৰূপ সাধু স্কুতে আনহ গোপনে । শুনি চিত্ররেখা চন্দ্রকান্তের সৌন্দর্য্য। রসে তনু টল২ হইল অধৈৰ্য্য । বরচ করে আণখি না মানে বারণ । হিয়া ছর দুর করে মন উচাটন । কামকূপ উথলিয়। উঠিল তখনি । থর থর করে অঙ্গ ব্যাকুল পরাণী । প্রথম যৌবনী একে চির বিরহিণী । রাজার নন্দিনী সুখী মুখের তরণী । হৃদমে লাগিছে ফিল বাক্য নাহি সরে । নয়ন মুদিয়া ধনী ভাবিছে অম্বরে ৷ কেমনে পাইব তারে কেমনে হেরিব । পাইলে কি করি তারে কোথায় রাখিব । মগন মউন মনে করে তাচ অ চি। বুঝি সে নাগরবিনে প্রাণে নাহি বাচি আভাস বুঝিয়া গোপী ভাবে অভিপ্রায় । হরিণী পড়িল জালে আর কোথা যায় । আজি নাতিনীর কাছে হইচু বিদায় । যাইবলি গোয়ালিনী উঠিয়া দাড়ায় । হুইল অধিক বেলা বিলম্ব না সয় । আবার আসিব যবে অবকাশ হয় । চিত্ররেখা উঠিয়া অঞ্চল তার ধরে । আমারে বধিয়া তুমি যাইবা কোথারে । চির বিরহিণী আমি তুমিতো তা জান । তার রূপগুণ এত শুনাইলে কেন । দুঃখেরউপরে দুঃখ আর বাড়াইলে । বিরহ অনল পুনঃদ্বিগুণ জ্বালালে । এমন কঠিন আইও তোমার হৃদয় । নীতিনী বলিয়া কিছু বয়। নাহি হয়। আমার সহিত একি বিবাদ সাধিলে । মদন করেতে . কর সমৰ্পিয়া দিলে । দেখাও আমারে সেই সাধুর নন্দন । নতুব ত্যজিতে বুঝি হইবে জীবন | রাজার নন্দিনী অামি