পাতা:চন্দ্রকান্ত.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চম কস্তি । ستاره& রঙ্গে বিহারছে রঙ্গে । বাস বাঘছালা, গলে হাড়মালা, গিরিরাজনীলা, শোভে বাম অঙ্গে । চল তিলোত্তম। তুমি চড়িয়া তুরঙ্গে । অন্তরীক্ষে রছিলাম আমি তোর সঙ্গে !! রাজার নিকটে গিয়া প্রণাম করিবে । জিজ্ঞাসা করিলে বুঝে পরিচয় দিবে। তোমারে পাইয়া তুষ্ট হবে নৃপবর । জামাত বলিয়া বহু করিবেআদর । অন্তঃপুর মধ্যে তুমি যাইবে যখনি। চিত্ররেখা সহ তথা দেখিবে মোহিনী । পতি হৈল মোহিনী যে যুবতী মোহন গুজরাটপুরে দেণহে হইবে মিলন । যেমন দেখিবে মনে ভাবিয়া তখন । বুঝিয়া করিবে তবে কার্ঘ্যের সাধন। এত শুনি তিলোত্তম। ভাবে মনেই । দুঃসাহসী হেন কৰ্ম্ম করিব কেমনে । ষে আজ্ঞা করিলা মাতা সকলি পারিব । কেমনে শ্বশুর স্থানে বিদায় হইব | পদ্মাবতী বলে রামা আমার সে দায় । উদ্যোগী হইয়। সাধু পঠাবে তোমায় । বিদায় হইয়। তবে যান পদ্মাবতী ! তিলোত্তম ভক্তিভাবে করয়ে প্রণতি । আশীৰ্ব্বাদ করে তারে পুত্রবর্তী হবে। স্বামীর প্রিয়সী হয়ে সুখেতে থাকিবে । অন্তর্ধান হয় পদ্মা বিচারিয়া মনে । সাধুর নিকটে তবে যান ততক্ষণে । ভয়ঙ্করী ৰূপ ধরি দে. খান স্বপন । ভাবিত হয়েছে সাধু পুঞ্জের কারণ | সংবাদ কি পাবে তার শুন বিবরণ । রাজার নন্দিনী সহ হয়েছে মিলন। রমণীর বেশধরি থাক অন্তঃপুরে । কিছুই নাস্থিক মনে সকল পাসরে । আসিবার পথ আমি নাহি দেখি তার পুত্রের কারণ তুমি কেন ভাব আর । যদি অন্বেষণ করি করহ সন্ধান । প্রকাশ করিলে কান্ত হারাইবে প্রাণ | কিঞ্চিৎ উপায় মাত্র আছয়ে তাহার। তিলোত্তম বধূরে বুঝাতে যদি পার। ধরিয়া পুরুষ বেশ গুজরাটে যায় । তবে চন্দ্রকান্ত বুকি পরিত্রাণ পায়। সাধ্য। রমণী হয় তিলোত্তম ধনী । পাইলে তামার আজ্ঞা যাইবে তখনি । নির্ভয় হইয়া যাবে স্বামী জানিবারে। চিন্তা কিছু নাহি রক্ষা করিব তাহারে ।