চন্দ্রনাথ २ . শাস্ত্রোক্ত বচনটির সহিত আধুনিক পণ্ডিত ও সেকেলে সূর্থের ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ না থাকিলেও, মণিশঙ্কর যে নিজের মনের ভাবটা প্রকাশ করিয়াছিলেন, চন্দ্রনাথ তাহা বুধিয়া মনে মনে প্রতিজ্ঞ করিল, খুড়ার সহিত আর সে কোন সম্বন্ধ রাখিবে না। আর পিতার জীবদ্দশাতেও এই দুই সহোদরের মধ্যে হৃদ্যতা ছিল না। কিন্তু আহার-ব্যবহারটা ছিল। এখন সেইটা বন্ধ হইল। চন্দ্রনাথের পিতা যথেষ্ট ধন-সম্পত্তিরাধিয়া গিয়াছেন,কিন্তু বাটতে আত্মীয়-স্বজন কেহ নাই, শুধু এক অপুত্ৰক মাতুল এবং দ্বিতীয় পক্ষের মাতুলানী। সমস্ত বাড়িটা যখন বস্তু ফাকা ঠেকিল, চন্দ্রনাথ তখন বাটীর গোমস্তাকে ডাকিয় কহিল, সরকারমশায়, আমি কিছু দিনের জন্তে বিদেশে যাব, আপনি বিষয়-সম্পত্তি যেমন দেখছিলেন, তেমনি দেখবেন। আমার ফিরে আসতে বোধ করি বিলম্ব হবে। . মাতুল ব্রজকিশোর তাছাতে আপত্তি প্রকাশ করিয়া কহিলেন, এ সময় তোমার কোথাও গিয়ে কাজ নেই ; তোমার মন খারাপ হয়ে আছে, এ সময় বাড়িতে থাকাই উচিত। চন্দ্রনাথ তাহ শুনিল না। বিষয়-সম্পত্তির সমুদয় ভার সরকার মহাশয়ের উপর দিয়া, এবং বসত বাটার ভাৱ ব্রজকিশোরের উপর দিয়া অতি সামান্তভাবেই সে বিদেশ-বাত্রী করিল। যাইবার সময় একজন ভৃত্যকেও সঙ্গে লইল না। -- ব্রজকিশোরকে নিভৃতে ডাকিয় তাহার স্ত্রী হরকালী বলিল, \, একটা কাজ করলে না ? - . . . :: ব্রজকিশোর জিজ্ঞাসা করিল, কি কাজ ?
পাতা:চন্দ্রনাথ-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।